এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কঠিন লড়াইয়ের জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছে আবাহনী। দিয়াবাতে ছাড়া দলে বিদেশি কোনো ফুটবলার না থাকলেও কিরগিজস্তানের শক্তিশালী ক্লাব মুরাস ইউনাইটেডের বিপক্ষে জয়ের ব্যাপরে আশাবাদী মোরসালিন-মিতুলরা। সংস্কার কাজ শেষে জাতীয় দলের পর প্রথম ক্লাব হিসেবে আকাশি-নীলরা খেলবে ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে।
ছুটির দিন, চারদিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, তবুও থামছে না আবাহনী। মারুফুল হক ব্যস্ত বিদেশি ছাড়া দলটাকে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কঠিন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে।
হোম ম্যাচে আকাশি-নীলদের প্রতিপক্ষ কিরগিজস্তানের মুরাস ইউনাইটেড। যারা ২০২৩ সালে যাত্রা শুরু করে জিতেছে টানা দুই লিগ শিরোপা। দলে চারজন জাতীয় দলের ফুটবলার, সঙ্গে বিদেশি আক্রমণ। লেফ্ট উইংয়ে বেনিনের শারবেল গোমেজের গতি, রাইট উইংয়ে কিরগিজ তারকা জুমাশেভের ফিনিশিং, তাদের রক্ষণভাগেও বেশ শক্তিশালী । সব মিলিয়ে গতি, শক্তি, অভিজ্ঞতার এক মিশ্রণ।
তাদের বিপক্ষে আবাহনীর সবটুকু ভরসা দেশি মোরসালিন-আল আমিনদের ওপর। আক্রমণভাগের কিছুটা দুর্বলতা স্পষ্ট। তবুও আবাহনী দেখছে বড় স্বপ্ন। প্রত্যাশা সুলাইমান দিয়াবাতের অর্ন্তভুক্তি আক্রমণে বাড়াবে শক্তি।
নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে আবাহনীর ফরোয়ার্ড শেখ মোরসালিন বলেন, ‘আমরা খুব আশাবাদী। দেখা যাক কি হয়? (দিয়াবাতে ছাড়া) আমাদের বিদেশি নেই। এখন আমাদের যা আছে তাই নিয়েই প্রস্তুত থাকতে হবে। দিয়াবাতের মতো একজন খেলোয়াড় থাকলে অবশ্যই বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাবে।’
বিদেশিদের নিয়ে ভাবছেন না জানিয়ে গোলরক্ষক মিতুল মার্মা বলেন, ‘পুরো দলের উপরেই দায়িত্ব এবং চাপ বেশি থাকবে। গত বছরও আমরা বিদেশি ছাড়া খেলেছিলাম প্রথম দিকে। আমাদের ফোকাস দলগত খেলা। বিদেশি আসল কি আসল না, সেটা নিয়ে আপাতত চিন্তা করছি না। যারা আছি সবাই নিজেকে ঝালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। আশা করি, নিজেদের সর্বোচ্চটা দিতে পারলে ভালো ফলাফল বের করে আনা সম্ভব হবে।’
শেষ ১০ ম্যাচে মুরাস পেয়েছে ৫ জয় ও ১ ড্র । বেশ ভালো ফর্ম দেখাচ্ছে দলটা। বিশেষ করে লিগে তাদের জয়ের ধারাবাহিকতা শক্তিশালী দল হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। আক্রমণ ও প্রতিরক্ষায় নিশ্চিতভাবেই চাপ সৃষ্টি করবে তারা।
অপরদিকে আবাহনী সবশেষ মৌসু্মে লিগের রানার্সআপ দল হলেও, এই লড়াইয়ের আগে দুই প্রস্তুতি ম্যাচে হেরেছে বসুন্ধরার কাছে। তবে, পরিচিত মাঠে খেলা হওয়ায় আশায় বুক বাঁধছে দলটা। দীর্ঘ বিরতি শেষে জাতীয় দলের পর প্রথম ক্লাব হিসেবে ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে খেলবে আবাহনী।
উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মোরসালিন বলেন, ‘আমার জন্য অবশ্যই গর্বের। ক্যারিয়ার শুরু করার পর জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলতে পারিনি। আমাদের সময় (স্টেডিয়াম খেলার জন্য প্রস্তুত) ছিল না।
শেষ আমাদের জাতীয় দলের খেলা এখানে হয়েছে। এখন এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের খেলা হবে। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। সবকিছুতে আমরা সুবিধা পাব। আমাদের হোম, অনুকূল আবহাওয়া; আশা করি ভালো কিছু হবে।’
এমকে/টিকে