নেপালে বিশ্বকাপ টিটি বাছাই টুর্নামেন্টের আগে ‘সিলেকশন না র্যাংকিং’ দ্বন্দ্ব ছিল খেলোয়াড়-ফেডারেশনের মধ্যে। অবশেষে নেপালে র্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে দল প্রেরণ করলেও আজ থেকে শুরু হয়েছে সিলেকশন। এতে সিনিয়র পুরুষ বিভাগে ১৪ জন এবং ১৬ জন নারী খেলোয়াড় রয়েছেন। রাউন্ড-রবিন লিগ পদ্ধতিতে একে অন্যের বিপক্ষে খেলবেন। দুই বিভাগেই শীর্ষ দশজন পুনরায় ক্যাম্পে সুযোগ পাবেন।
সিলেকশন ট্রায়াল শুরুর আগেই জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা দুই টিটি খেলোয়াড় বাদ পড়েছেন। একজন নারী ও একজন পুরুষ খেলোয়াড় জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকলেও সিলেকশন ট্রায়ালে অংশ নিতে পারেননি। এই প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আহমেদ (সনেট) বলেন, ‘শৃঙ্খলাজনিত কারণে তারা এই সিলেকশন খেলতে পারছে না। একজন বিকেএসপির শিক্ষার্থী তাকে বিকেএসপি পাঠানো হয়েছে, আরেকজন বিকেএসপির সাবেক শিক্ষার্থী সে অন্যত্র গেছে।’
ক্যাম্পে অনেক প্রকার শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগই ওঠে। কোচ-ফেডারেশনের নির্দেশ অমান্য, সতীর্থদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার এসবই বেশি হয়। তবে দুইজনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগটি ভিন্ন রকম, ‘এটি ব্যক্তিগত পর্যায়ের (অনৈতিক) শৃঙ্খলাভঙ্গ। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাদের শোকজ করা হয়। শোকজের জবাবে তারা বিষয়টি স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছে।
আমরা তাদের কোনো নিষেধাজ্ঞা দেইনি। ন্যাশনাল, লিগ ঘরোয়া টুর্নামেন্ট খেলতে পারবে কিন্তু জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকতে পারবে না।’
বাংলাদেশ টিটি দল নেপালে ছিল। সেই সময়ে ঢাকায় ক্যাম্পে অন্য খেলোয়াড়রা ছিল। ঐ সময় একটি অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়। শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়াম টেবিল টেনিস ও ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন ভাগাভাগি করে ব্যবহার করে। বিগত সময়ে নারী টিটি খেলোয়াড়রা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা কিংবা অন্যত্র থাকতেন। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে টেবিল টেনিস ফেডারেশনেই নারী ও পুরুষ এক জায়গায় ক্যাম্প চলছে। উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা একই ক্যাম্পে থাকা সামাজিকভাবে খানিকটা ঝুঁকিপূর্ণ। ফেডারেশনের নজরদারিও যথেষ্ট নয়। নতুন কমিটি এখন ক্যাম্পের পরিবেশ ও শৃঙ্খলার বিষয়ে আরো জোরদার করছে।
এমকে/টিকে