দেশটা হাওয়ায় হাওয়ায় আসে নাই, বাপ দাদারা রক্ত দিয়ে আনছে বলে মন্তব্য করেছেন আমজনতার দলের সদস্য সচিব মো. তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ৭১ নিয়ে অস্বস্তিতে যারা পড়ছে, সরাসরি বলতে না পেরে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বলে, হয়তো শরম পায়। দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে, যেন এরা নির্লজ্জ হয়ে বলার সুযোগ না পায় যে ৭১ আবার কি?
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি দাবি করেন।
তারেক রহমান বলেন, দেশটা হাওয়ায় হাওয়ায় আসে নাই, বাপ দাদারা রক্ত দিয়ে আনছে। ৭১ কে অসম্মান করছে কেউ কেউ। এমনভাবে যে ২৪ এ তারা প্রতিশোধ নিছে। আমরা ২৪ এ ৭১ কে প্রতিহত করি নাই বরং বাপ দাদার অর্জিত ভিটাকে রক্ষা করেছি।
তিনি বলেন, সাম্য মানবিক মর্যাদা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার মূলমন্ত্র নিয়ে যে ৭১ ঘটেছিল, তা অনেকের কাছে তিক্ত। পরাজিত হলে অস্বস্তি থাকবেই। জয়ী হলে তো আর কিছু দেশের মানুষকে কচুকাটা করত। পরাজিতরা একটু মাথা নীচু করে না রাখলে কিসের বিজয় আমরা পেয়েছি।
এই নেতা আরো বলেন, রক্তের চ্যাংড়া বুড়া নাই, চ্যাংরা রক্ত হরহামেশা লুটপাট করছে। আবার চেংড়ার রক্তের গ্রুপ বেচে বাপেও লুটপাট করছে। জুলাই এখন সরকারের দাপ্তরিক আচার অনুষ্ঠান, জুলাইয়ের বিপ্লবীদের বক্তব্য আর দরকার হচ্ছে না, আমলারাই জুলাই যোদ্ধা বনে গেছে।
তারেক রহমান অভিযোগ করেছেন, ঢাকা জেলা প্রশাসকের আয়োজিত ৩ ঘণ্টার কর্মসূচীতে ১ নিহতের মা আর ১ আহতের মা, আর এক সুস্থ আহত মিলে ২০ মিনিট বক্তব্য দিছে বাকি ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিট আমলারা বক্তব্য দিছে। মনে হচ্ছিল আমলারাই জুলাই যোদ্ধা।
তিনি আরো বলেন, জুলাই এখন করপোরেট ব্যায়ের খাত, জনগণের কষ্টের ভ্যাট ট্যাক্সের শত শত কোটি টাকার আয়োজনে প্রাণ নাই, মায়া নাই।
ফরিদপুর থেকে ভাড়া করা পুরো ট্রেনে মোট ১৭ জন নাগরিক ছিল ঢাকা আসতে জুলাই ঘোষণার দিনে। কদিন শাহবাগে নকল আন্দোলন করতে কিছু জুলাই যোদ্ধাকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। সাব্বির নামে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের এক কর্মকর্তা নাকি সেখানে কর্মসূচি করতে বলছে। সেদিনই জানলাম জুলাই যোদ্ধা দুই ধরনের।
এক হলো কার্ডধারী জুলাই যোদ্ধা, আর এক হলো অকার্ডধারী জুলাই যোদ্ধা। ওই দিনের ঝগড়া না দেখলে বুঝতামই না, জুলাই যোদ্ধা হতে হলে কার্ড নিতে হবে সরকার থেকে। মনে মনে ভাবছিলাম, আমাদের তো কার্ড নাই আমরা তাইলে কারা। তা আপনারা একটু জানান, কারা কারা কার্ডধারী জুলাই যোদ্ধা, কারা কারা কার্ডহীন জুলাই যোদ্ধা।’