বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেছেন, ‘জনগণের সঙ্গে দূরত্ব হয় এমন কোনো কাজ আপনারা করবেন না। কারণ জনগণই হচ্ছে আসল শক্তি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন হবে সে নির্বাচন আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়েই করতে চাই।’
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির নেতাকর্মী ও ছাত্রজনতার অংশগ্রহণে শহরের লোকনাথ টেংকেরপাড় ময়দানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন।
শ্যামল বলেন, ‘বিগত ১৬ বছর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার এই দেশের সংবিধান গণতন্ত্র এবং আইন বিচার ব্যবস্থাসহ সব ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছিলো। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছিল। জুলাই আগস্টে তারেক রহমানের নেতৃত্বে, এদেশের ছাত্র জনতার নেতৃত্বে এই দেশের জনগণ ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিতাড়িত করে এদেশে গণতন্ত্র কায়েম করেছে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান যদি কেউ এককভাবে দাবি করে তাহলে সেটা ভুল হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গত ১৬ বছর তিলে তিলে আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে হারিয়েছি। আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে আন্দোলন করেছি, সে আন্দোলনের পটভূমির বহিঃপ্রকাশ হলো জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থান। এই স্বাধীনতাকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।’
ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন বলেন ‘আমরা কোনো ভোটারবিহীন নির্বাচন, দিনের ভোট রাতে, কিংবা আমি ডামির কোনো নির্বাচন দেখতে চাই না।
আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়েই র্নিবাচন করতে চাই। জনগণ যে রায় দেবে আমরা তা মেনে নেব।’
এর আগে জুলাই আগস্ট'২৪ এর ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজয় মিছিল করে জেলা বিএনপি। এরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে একটি বিজয় মিছিল বের করা হয়। মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের লোকনাথ টেংকেরপাড় ময়দানে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুল হক খোকন, সহ-সভাপতি এবিএম মুমিনুল হক, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচিসহ বিএনপির ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এমআর/টিকে