কালকের দিনটি ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমার জন্য দারুণ ছিল। বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের ট্রফি নেয়ার কিছুক্ষণ পরই বিসিবি’র বাড়ি করে দেয়ার খবর। এমন সুখের দিন একজন ক্রীড়াবিদের আসে কালেভদ্রে।
বিসিবির বাড়ি করে দেয়ার খবরটি ঋতুপর্ণার কাছে একেবারে চমকই। রাতে বাফুফের ক্যাম্পে আকস্মিক খবর পান বিসিবি তার বাড়ি নির্মাণের দায়িত্ব নিয়েছে। বেশ বিস্মিত হয়ে বলেন, ‘খবরটি শুনে খুবই অবাক হয়েছি। বিসিবিকে ধন্যবাদ তারা আমাকে এমনভাবে পাশে দাড়ানোয়। বিসিবি সভাপতি সহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
রাঙামাটি জেলার মঘাছড়ি গ্রামে ঋতুপর্ণার বাড়ি। অনেকটা দুর্গম এলাকা হওয়ায় যাতায়াতে সমস্যা। বিগত সরকার ঘাগড়া ইউনিয়নে ঋতুপর্ণাকে জমি প্রদান করেছিল। ঋতুপর্ণার অনুরোধ বর্তমান বাড়ির বদলে নতুন জায়গায় বাড়ির, ‘আমরা এখন যে জায়গায় থাকি সেটা অনেক ভেতরে। পরিবারের যাতায়াতের সমস্যা। আমি যে জায়গা পেয়েছি ঐ জায়গায় যদি বিসিবি বাড়ি করে দেয় তাহলে আমার পরিবারের জন্য খুব ভালো হবে।’
২০২২ সালে বিগত সরকার ঋতুপর্ণাকে যে ১২ শতাংশ জায়গা দিয়েছে সেটা নিয়ে একটু আনুষ্ঠানিকতার জটিলতা রয়েছে। তার নামে এখনো রেজিস্ট্রি হয়নি। এ নিয়ে অনেক চিঠি চালাচালি হলেও ঋতুপর্ণার নামে কাগজপত্র হয়নি। এ নিয়ে ঋতুর আক্ষেপ, ‘জায়গার বাউন্ডারি আমি দিয়েছি এখনো আমার নামে রেজিস্ট্রি হয়নি। ভুটান লিগ খেলার আগেও আমি যোগাযোগ করে কাগজপত্র দিয়েছিলাম।’
ঋতুপর্ণার চাওয়া নতুন জায়গায় বিসিবির সহায়তায় বাড়ি হোক। নতুন জায়গায় আনুষ্ঠানিক মালিকানা তার এখনো হয়নি। তিন বছরের জটিলতা নিরসনের জন্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারকা ফুটবলারের, ‘আমার জায়গার বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি হলে বিসিবি সেখানে বাড়ি করে দিলে পরিবার নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারব।’
মাত্র তিন দিনের ঝটিকা সফরে এসেছেন ঋতুপর্ণা। আগামীকাল সকালে আবার ভূটানে ফিরে যাবেন তিনি।
টিকে/