ভারতের উত্তর প্রদেশের নয়ডা পুলিশ কথিত ‘ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ অ্যান্ড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’ নামে ভুয়া অফিস চালিয়ে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা সরকারি কর্মকর্তার পরিচয়ে প্রতারণা করত এবং জাল নথি, ভুয়া পরিচয়পত্র ও পুলিশ-স্টাইলের প্রতীক ব্যবহার করে অর্থ আদায় করত।
পুলিশ জানিয়েছে, চক্রটি নিজেদের সরকারি কর্মচারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে একটি ওয়েবসাইট মাধ্যমে অনুদান সংগ্রহ করত। নিজেদের বৈধ প্রমানের জন্য অনলাইনে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সনদ প্রদর্শন করত তারা।
চক্রটি নয়ডার ফেজ-৩ এলাকায় এ ভুয়া অফিস গড়ে তুলে নিজেদের আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থার সদস্য হিসেবে পরিচয় দিত। তারা জাল নথি, ভুয়া আইডি কার্ড ও পুলিশ-স্টাইলের প্রতীক ব্যবহার করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করত।
চক্রটির নেটওয়ার্ক আর বিস্তার বন্ধ করতে পুলিশ সম্প্রতি এ অফিসটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ জাল পরিচয়পত্র, সরকারি কাগজপত্র, পাসবুক ও চেকবই উদ্ধার করা হয়েছে।
তদন্তকারীরা জানান, এ প্রতারণার ধরন সম্প্রতি গাজিয়াবাদে ফাঁস হওয়া এক ভুয়া দূতাবাস চক্রের সঙ্গেও মেলে, যেখানে সরকারি নাম ও প্রতীক অপব্যবহার করে মানুষকে প্রতারণা করা হয়েছিল।
ডিসিপি শক্তি মোহন অবস্থি জানান, অভিযুক্তরা নিজেদের ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ের তদন্ত সংস্থার’ সদস্য দাবি করত এবং যাচাই বা অনুসন্ধানের অজুহাতে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করত। তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জাল সিল, লেটারহেড ও বিভিন্ন সরকারি প্রতীকের নকল উদ্ধার হয়েছে। বিবাশ, আরাগ্য, বাবুল, পিন্টুপাল, সম্পমদল ও আশিষ নামের গ্রেপ্তারকৃতরা সকলেই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।
এ ‘ভুয়া পুলিশ স্টেশন’ কেলেঙ্কারি আসে কয়েক সপ্তাহ পর, যখন গাজিয়াবাদ পুলিশ কবি নগরের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে ভুয়া কূটনৈতিক মিশন চালানোর অভিযোগে ৪৭ বছর বয়সী হর্ষবর্ধন জৈনকে গ্রেপ্তার করে।
কর্মকর্তারা জানান, তার কাছ থেকে জাল নথি, বিদেশি মুদ্রা ও হাওলা কারবারে ব্যবহৃত সন্দেহজনক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
কেএন/এসএন