বলিউডের পরিশ্রমী ও পারদর্শী অভিনেতা ও প্রযোজক আমির খান ২০২৫ সালে আলোচিত হয়েছেন তাঁর ছবি ‘সিতারে জমীন পার’-এর জন্য। জেনেলিয়া ডি’সুজার সঙ্গে অভিনীত এই ছবি বিশ্বব্যাপী ₹২৬০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে এবং একই বছরের তৃতীয় সর্বোচ্চ আয়ের হিন্দি সিনেমা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তবে এই অসাধারণ সাফল্যের পেছনে রয়েছে আমির খানের এক সাহসী ও অভিনব মুক্তি নীতি, যা তাকে অনেক বড় ব্যক্তিগত ক্ষতির সম্মুখীন করেছে।
সাধারণত বাণিজ্যিক সিনেমাগুলো ওটিটি প্ল্যাটফর্মের লাভজনক অফারগুলো গ্রহণ করে দ্রুত আয় বৃদ্ধির চেষ্টা করে থাকে। কিন্তু আমির খান এই প্রচলিত পথ ছেড়ে ইউটিউবের পে-পার-ভিউ মডেল বেছে নেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, তাঁর এই ছবি দীর্ঘ সময় প্রেক্ষাগৃহে চলা উচিত এবং দর্শকরা সিনেমাটি বড় পর্দায় দেখার সুযোগ পাবে। তবে এই সিদ্ধান্তে তাঁর প্রাথমিক প্রযোজক অংশীদাররা আপত্তি জানিয়ে স্ট্রিমিং ডিলগুলো নাকচ করতে রাজি ছিলেন না।
পরিস্থিতি সামলাতে আমিরকে ₹১২২ কোটি টাকা ব্যয় করে তাদের থেকে ভাগ নেওয়া অংশ কিনে নিতে হয়, যা সিনেমাটির মোট বাজেট ₹৯৬ কোটি টাকার থেকে অনেক বেশি। যদিও আয়ের বিস্তারিত প্রকাশ করেননি আমির, তিনি জানিয়েছেন, সিনেমাটি ইউটিউবের প্রত্যাশার থেকেও অনেক বেশি সফলতা অর্জন করেছে। এই সফলতায় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, একসময় তাঁর এই বড় বিনিয়োগ ফেরত পাবেন।
ছবির এমন অভিনব মুক্তি কৌশল বলিউডে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এবং শিল্পী ও প্রযোজকদের মাঝে এক নতুন প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বাণিজ্যিক লাভের থেকে কি সিনেমার মান ও দর্শকের অভিজ্ঞতাকেই গুরুত্ব দেয়া উচিত? আমির খানের এই সিদ্ধান্ত স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিয়েছে, কখনো কখনো শিল্পের উন্নয়নে সাহসী পদক্ষেপই বড় সাফল্যের বীজ বোনা হয়।
এমকে/টিকে