চলতি বছরের মে মাসে সামরিক সংঘাত চলার সময় পাকিস্তানের পাঁচটি যুদ্ধবিমান এবং একটি বড় সামরিক বিমান ভূপতিত করার দাবি করেছে ভারত। সংঘাত বন্ধের তিন মাস পর ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রধান সম্প্রতি এই দাবি করেন।
অবশ্য পাকিস্তানের বিমান ধ্বংস নিয়ে ভারতের এই দাবিকে ‘নিজেদের আত্মতুষ্টি’ বা ‘মনে মনে সুখ’ বলে অভিহিত করেছেন চীনের একজন বিশেষজ্ঞ। এমনকি ভারতের এসব দাবিকে তিনি হাস্যকর ও ভিত্তিহীন বলেও আখ্যায়িত করেছেন।
সোমবার (১১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভারতের বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অমর প্রীত সিংয়ের দাবিকে হাস্যকর ও ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন চীনের চারহার ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো অধ্যাপক চেং শিজং। গত মে মাসের শুরুর দিকে ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর সময় ভারতীয় বাহিনী পাঁচটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ও একটি বড় আকারের বিমান ভূপাতিত করেছে বলে সিং দাবি করেছিলেন।
অধ্যাপক চেং বলেন, এই দাবির পক্ষে ভারতীয় পক্ষ কোনো দৃঢ় প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি এবং আন্তর্জাতিক মহলে এটি ব্যাপকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তিনি বলেন, যেকোনো কিছু যথেষ্ট প্রমাণের ওপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত। ভারত কোনো ধ্বংসাবশেষের ছবি বা রাডারের তথ্যপ্রমাণ প্রকাশ করেনি।
অন্যদিকে পাকিস্তান এর আগে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের বিষয়ে বিপুল প্রমাণ হাজির করেছিল। তাই ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রধানের বক্তব্য তিনি ‘নিজের আত্মতুষ্টি’ বা ‘মনে মনে সুখ’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
চেং আরও বলেন, ভারত-পাকিস্তান সংঘাত শেষ হওয়ার পর তিন মাসেরও বেশি সময় কেটে গেছে, কিন্তু ভারত এখনো পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। বিপরীতে, সংঘাত শেষে ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংসের বিষয়ে পাকিস্তান তাৎক্ষণিকভাবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কাছে বিস্তারিত প্রযুক্তিগত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
তিনি জানান, বিশ্বনেতা, ভারতের জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ এবং বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার মূল্যায়নেও নিশ্চিত হয়েছে- ভারত একাধিক বিমান হারিয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছিল।
অধ্যাপক চেংয়ের মতে, বাস্তবতা হলো- ভারতের হামলায় কোনো পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়নি। বরং পাকিস্তানই ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে এবং এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসসহ অন্যান্য সাফল্য অর্জন করেছে ইসলামাবাদ। যা তর্কাতীত ভাবে সত্য।
টিকে/