নির্মাতা ভিকি জাহেদ ফিরছেন নতুন নাটক ‘খোয়াবনামা’ নিয়ে। সদ্য প্রকাশিত পোস্টারে দেখা গেছে—কবরে শুয়ে থাকা লাশ এবং চারপাশে সাপের উপস্থিতি। ভয় ধরানো পোস্টারটি প্রকাশের পর থেকেই আলোচনায়। অস্বস্তিকর, ধাঁধাময় এবং কৌতূহল জাগানিয়া এই পোস্টার ছোটবেলার দেখানো ‘কবরের আজাব’-ধাঁচের আতঙ্কের স্মৃতিও উসকে দিচ্ছে দর্শকদের মনে।
নির্মাতা হিসেবে ভিকি জাহেদ বরাবরই হরর-মিস্ট্রি ও সাইকোলজিক্যাল ঘরানার কাজের জন্য পরিচিত। যার ফলে তার আসন্ন নাটকের পোস্টার দর্শকদের প্রত্যাশা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
এই নাটকে জুটি বেঁধেছেন জনপ্রিয় দুই তারকা তৌসিফ মাহবুব ও তানজিন তিশা। এতে কাজ করা কঠিন ছিল বলেই জানিয়েছেন তৌসিফ মাহবুব।
তিনি জানান, কবরে রাত ৩টার সময় শুতে হয়েছে তাকে। এমনকি জলজ্যান্ত সাপকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তার ওপরে। তৌসিফ বলেন, ‘ছয়টি জলজ্যান্ত সাপ আমার ওপরে ছেড়ে দিয়েছে এবং সবচেয়ে ভয়ংকর জিনিস হচ্ছে যে, একসঙ্গে অনেকগুলো ভয় জয় করতে হয়েছে। মানুষের সবচেয়ে বড় ভয় মরে যাওয়া, মৃত্যুর ভয়।
আমি একটা লাশ হয়ে কবরে শুয়েছি। এর আগে আমি একটা লাশ হয়ে গাড়িতে শুয়েছিলাম। তখনই একটা অদ্ভুত ফিল হয়েছিল যে আমরা যদি কখনো লাশ হয়ে যাই তাহলে কেমন হতে পারে? অভিনয় করতে গিয়ে তো কত রকম চরিত্রে করি। লাশের চরিত্রগুলো করতে গিয়ে আমি ভয় পাই সব সময়। তার মধ্যে যখন কবরে শুয়ে কবর থেকে আমি মানুষগুলোকে দেখছি, আমি মরে গেলে তো একদিন আমাকেও এভাবে মাটি দেওয়ার প্রিপারেশন নেবে। এটাই সত্যি, এটাই বাস্তব।’
তৌসিফ বলেন, ‘শুটিংয়ে তো আমাকে মাটি দেওয়া হলো না। আমার ওপরে ৬টি সাপ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কোনোটা মুখের ওপর দিয়ে যাচ্ছিল, কোনটা বুকের ওপর দিয়ে, কোনোটা ঘাড়ের ওপরে। আমার চরিত্রটা ছিল লাশের। তাই আমি যদি ভয় পেয়ে যাই ওদের সরাতেও পারব না। যদি কেউ আক্রমণও করে ফেলে তাহলেও আমাকে রক্ষা করার উপায় নেই। কারণ ইউনিটের সবাই দূরে ছিল। শুধু সাপের বেদিনি আমার কাছে ছিল সাপ নিয়ে। সেভাবেই আর কি শুটিংটা করেছি। আমি একসাথে কবর, সাপ এবং কবরের আজাব—যা-ই বলেন, সেটার ভয় পার করতে পেরেছি।’
শুটিংয়ে সাপ ছিল না, গ্রাফিকস দিয়ে এমন দৃশ্য করা হয়েছে, এই ধরনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৌসিফ আরো বলেন, ‘অনেকেই বলছে এটা গ্রাফিকস। কোনো সাপ নেই। তবে সত্যিকারের সাপ দিয়েই আমাদের শুটিং হয়েছে। আমার কাছে ভিডিও আছে। আপনারা চাইলে আপ দিয়ে দেব সেটা।’
ইউটি/এসএন