পারস্পারিক শ্রদ্ধা ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় ভারত। ওয়াশিংটনের আরোপিত উচ্চ শুল্ক হারের পর সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাইছে নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) এমনটি জানানো হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একটি মার্কিন প্রতিরক্ষা নীতির একটি দল এই মাসে নয়াদিল্লিতে এসে ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতের অস্ত্র কেনার বিষয়টি টানাপোড়েন সত্ত্বেও পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে চলছে।
গত সপ্তাহে ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ এবং রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়ের কারণে শাস্তি হিসেবে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। এতে দুই দেশের মধ্যে গড়ে ওঠা নতুন বন্ধুত্বে ধাক্কা লেগেছে।
রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়ের কারণে ভারতকে আলাদা করে নিশানা করার কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে দ্বিমুখী নীতি অনুসরণের অভিযোগ করেছে নয়াদিল্লি এবং শুল্ক আরোপকে অন্যায়, অযৌক্তিক ও অমূলক বলে অভিহিত করেছে।
একই সঙ্গে ভারত ইঙ্গিত দিয়েছে যে, দুই দেশের সম্পর্কের উষ্ণতা বহু ক্ষেত্রে বিস্তৃত এবং তা শুধুমাত্র বাণিজ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত নয়। যদিও তারা আশা করছে যে, বাণিজ্য আলোচনা চলার পাশাপাশি তারা একটি চুক্তিতে পৌঁছাবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘এই অংশীদারিত্ব নানা রকম পরিবর্তন ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে... এবং আমরা আশা করি পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে এই সম্পর্ক সামনে এগিয়ে যাবে।
ওয়াশিংটন থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনার পরিকল্পনা ঠিক মতো এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন জয়সওয়াল। তিনি বলেন, এই মাসে দিল্লিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর একটি দল আসার কথা রয়েছে।
রয়টার্স গত সপ্তাহে জানিয়েছিল, ভারত নতুন মার্কিন অস্ত্র ও বিমান কেনার পরিকল্পনা স্থগিত করেছে এবং ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর ওয়াশিংটন সফর বাতিল করা হয়েছে। তবে ভারত সরকার পরবর্তীতে জানায়, আলোচনা স্থগিত করার খবরটি ভুল।
এফপি/ এসএন