স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া অন্যদের নিজের চরিত্র হননের সুযোগ করে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় উপস্থাপক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং ইনফ্লুয়েন্সার আব্দুন নূর তুষার।
তিনি বলেছেন, কিছুদিন আগে সশস্ত্র বা অর্ধসশস্ত্র অবস্থায় এয়ারপোর্টে গিয়েছিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তার গুলির ম্যাগাজিন আছে। এটা স্বীকারও করেছেন।
উনি কি নীলা মার্কেটে যাওয়ার সময় নিজের বন্দুক বহন করেন? বন্দুকসহ যান? এয়ারপোর্টে যান সেটা আমরা জেনেছি। তাহলে এই বন্দুক তিনি কোথায় রেখে যান? ওয়েস্টিতে বন্দুক নিয়ে ঢুকা নিষেধ। ওয়েস্টিনে ঢুকার সময় ম্যাটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেক হয় এবং ব্যাগসহ সবকিছু চেক হয়। তখন কি তিনি বন্দুক বাইরে রেখে ঢুকেন? তাহলে মানুষ অনেক প্রশ্ন করবে।
ফলে তিনি নিজেই চরিত্র হননের সুযোগ দিয়েছেন।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে এসব কথা বলেন।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সাধারণত উপদেষ্টা কি মোটরসাইকেলের পেছনে চড়েন? চড়েন না। যখন অভিযোগ উঠলো তিনি মোটরসাইকেলের পেছনে চড়েন, তখন স্বীকার করলেন চড়েন এবং নীলা মার্কেটে হাঁসের মাংস খেতে যান।
উপদেষ্টা হওয়ার পর কিছু ডেকোরাম আছে। তাহলে নীলা মার্কেটে হাঁসের মাংস খেতে মোটরসাইকেলের পেছনে চড়ে চলে যান। সেখানে যখন যান, তখন তার গানম্যান কি পেছনে মোটরসাইকেলে থাকে? কিংবা তাকে যারা নিরাপত্তা দেন, তারা কি একাধিক মোটরসাইকেলে তাকে ফলো করেন। বিকেল, সন্ধ্যা কিংবা রাতে তার বাড়িতে তাকে খাবার দেওয়া মতো কেউ থাকে না। তার সঙ্গে যারা থাকেন, সেই নিরাপত্তা তো সঙ্গে থাকতে হবে।
তারাই তো যথেষ্ট তার জন্য খাবার সংগ্রহ করে দেওয়ার। ফলে এখানে কিছু যুক্তির ফাঁক-ফোকর আছে।
আব্দুন নূর তুষার বলেন, তার (উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ) মধ্যে আরো প্রশ্ন উদিত হয়েছে। অপু ধরা পড়েছে। অপুর একটা ভিডিও এসেছে। বলা হচ্ছে এটা চরিত্র হননের চেষ্টা। অপুর স্ত্রীর সঙ্গে কি অপুর যোগাযোগ হয়েছে? অপু কি গিয়ে সব কিছু স্ত্রীকে বলে? অপুর স্ত্রী জানলো কিভাবে অপুকে জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে বক্তৃতা দেওয়ানো হচ্ছে কিংবা ভিডিও করানো হচ্ছে।
অপু কি ওখান থেকে ফোন করে স্ত্রীকে জানাতে পেরেছে? এত নিশ্চিতভাবে অপুর স্ত্রী বলতে পারে কিভাবে? মানুষ প্রশ্ন করবে। এই প্রশ্নগুলো উত্থাপিত করার সুযোগ ওরা নিজেরাই দিচ্ছেন। এই সুযোগ দেওয়ার পরে যদি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবেও এই প্রশ্নগুলো তোলে, তাহলে আমি বলবো, তাদের আচরণের ক্ষেত্রে অনেক সংযত হওয়া দরকার।
এসএন