বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সংস্কার সংস্কার করে কালক্ষেপণ করলে ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনবে, মহাবিপদ ডেকে আনবে। ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিন সরকারের সংস্কার আমরা দেখেছি। সে সংস্কারের পর শেখ হাসিনার দানব সরকার এনেছিল। জাতি পেয়েছিল ভয়ংকর দুঃশাসন।
বেগম খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, আমরা ১/১১ সরকারের সংস্কারের জিকির ভুলে যাইনি। তৎকালীন সিইসি শামসুল হুদা বিএনপির গঠনতন্ত্র ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। সে ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিন সরকার সংস্কার করে এমন সরকার ক্ষমতায় এনেছিল যে সরকার দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছিল, দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। ইলিয়াস আলী, চৌধুরি আলম, জাকির, সুমনসহ অসংখ্য বিএনপি নেতাকর্মীকে গুম করে খুন করে ভয়াবহ দুঃশাসন কায়েম করেছিল। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
মানুষের ভোটের অধিকার, বাকস্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়ে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। আমরা এমন সংস্কার চাই না। দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে যে প্রয়োজনীয় সংস্কার দরকার বিএনপি সেটির বিরোধিতা করে না। তাই সামনে অনেক সময় রয়েছে, প্রয়োজনীয় সংস্কার করে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সে সময় ঘোষণা করা হয়েছে সেই ঘোষিত সময়েই নির্বাচন দাবি করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া হলেন দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তার দেখানো পথ ধরেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতৃত্ব দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাজিক আহসানের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। এ সময় ইয়াসিন আলী, ডা. জাহিদুল কবিরসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কেএন/এসএন