২০২০ সালে হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ফলে প্রথমবারের মতো কোনো বৈশ্বিক শিরোপার স্বাদ পায় বাংলাদেশ। সে আসরে দলটির অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন আকবর আলি। ফলে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।
যুব বিশ্বকাপ দিয়ে লাইম লাইটে আসা আকবর এখনো জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাননি। তবে এইচপি কিংবা এ দলের হয়ে খেলছেন আকবর। ঘরোয়া লিগ গুলোতে দাপটের সঙ্গে খেলার পাশাপাশি সস্প্রতি ইংল্যান্ড থেকে লেভেল-২ কোচিং সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে এখনই কোচিংয়ে আসার কোনো পরিকল্পনা নেই আকবরের। আরো অনেক বছর বছর খেলতে চান ক্রিকেট।
তিনি জানান, ‘না, এখনই কোচিংয়ে আসছি না। আল্লাহ সবকিছু ঠিক রাখলে, সুস্থ রাখলে আমি ইন শা আল্লাহ আরো অনেক বছর ক্রিকেট খেলব। এটা করেছি শুধু নিজের উন্নতির জন্য, নিজের কোচিংটা একটু ভালোভাবে যেন করতে পারি। নিজের ভুলগুলো যেন নিজেই ভালো বুঝতে পারি এটার জন্যই শুধু করা।’
প্রশ্ন জাগে তাহলে কী কোচিংয়ের জন্যই এ দলের চলমান সিরিজে নেই আকবর? বিষয়টি খোলাসা করে তিনি বললেন, ‘আমার এই কোচিং করার তারিখটা ছিল এই সময়ে, আর একটা ছিল অক্টোবরে। তো যেহেতু আমি আসলে এ দলে সিলেক্ট হইনি, ফ্রি ছিলাম। তাই বোর্ড থেকে ছুটি নিয়ে করেছি। এখন না করলে অক্টোবর বা ডিসেম্বরে করতে হতো। ফ্রি থাকায় এখন করে ফেলেছি। এমন না যে ওটা রেখে এটা করেছি। খেলা তো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।’
গেল মৌসুমে এনসিএল টি-টোয়েন্টির শিরোপা জিতেছিল রংপুর বিভাগ। আকবর ছিলেন নেতৃত্বে। এবারো তার লক্ষ্য শিরোপা জয়, ‘প্ল্যানিং চলতেছে এনসিএলের দল নিয়ে। আগে থেকেই চলতেছিল আমাদের ফিটনেস ক্যাম্প শুরু হয়েছে। বেশ কিছু ক্রিকেটার শুরু করেছে, চ্যাম্পিয়নশিপ ধরে রাখার জন্য ফাইট করব আমরা ইন শা আল্লাহ।’
আসন্ন এনসিএলে রংপুর দলে যোগ দিচ্ছেন নাসির হোসেন। যে কারণে উচ্ছ্বসিত অধিনায়ক আকবরও, ‘দেখেন নাসির ভাই কিন্তু আমাদের অনেক ভাইটাল খেলোয়াড়। উনি ব্যাটিং করেন, বোলিং করেন। দলে অলরাউন্ডার থাকলে দলের ব্যালেন্সটা ঠিক হয়। তিনি যদি ফিট থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের দলের জন্য একটা বাড়তি প্লাস পয়েন্ট।’
ইএ/টিএ