বাংলাদেশের প্রথম নারী আম্পায়ার হিসেবে বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং এর মাধ্যমে ইতিহাস গড়তে চলেছেন সাথিরা জাকির জেসি। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র আসেনি, তবে আইসিসির কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থান কালে আইসিসির কাছ থেকে সংবাদটা পান জেসি।
দেশের এক ক্রীড়া ওয়েবসাইটকে বাংলাদেশের সাবেক অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘আমি মক্কায় ছিলাম যখন আইসিসি থেকে গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছি। সংবাদটা পেয়ে অনেক কেঁদেছি আগে।’
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ পাবেন এমন আশা করেছিলেন জেসি। সেবার না পেলেও এবার পেয়ে দারুণ খুশি তিনি।
বাংলাদেশি আম্পায়ার বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। এটার জন্য এত দিন অপেক্ষা করছিলাম বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করার সুযোগ এলো অবশেষে। টি-টোয়েন্টিতে আশা করেছিলাম সেখানে হয়নি, আল্লাহ বড়টা (ওয়ানডে বিশ্বকাপ) লিখে রেখেছেন। এটা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
নারী-পুরুষ উভয় মিলে বাংলাদেশের দ্বিতীয় আম্পায়ার হিসেবে বিশ্বকাপে থাকবেন জেসি। প্রথম এই কীর্তি গড়েছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। সৈকতেরও অভিষেকটা হয়েছিলে ভারতেই। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ দিয়ে। তবে জেসির ভারতে নাকি শ্রীলঙ্কায় হবে তা সময় হলে জানা যাবে।
আগামী ওয়ানডে নারী বিশ্বকাপ হবে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। টুর্নামেন্টটি শুরু হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। নিগার সুলতানা জ্যোতি-ফারজানা হক পিংকিরা যখন দেশের হয়ে লড়বেন তখন ভিন্ন ভূমিকায় দেখা যাবে জেসিকে। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ অক্টোবর।
জাতীয় দলের হয়ে মোটে ৩ ম্যাচ খেলেছেন জেসি। খেলোয়াড়ী ক্যারিয়ার না হলেও আম্পায়ারিং বেশ দীর্ঘ। সীমিত সংস্করণে বহু ম্যাচ আম্পায়ারিং করার অভিজ্ঞতা তো আছেই সঙ্গে যুব পর্যায়ের বিশ্বকাপের ম্যাচ পরিচালনাও করেছেন তিনি। গত বছর নারী এশিয়া কাপেও ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি। এ বছর হওয়া নারী অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও ছিলেন।
ইএ/টিএ