বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন, সিরাজউদ্দৌলা সিনেমায় যেমন আনোয়ার হোসেন সিরাজউদ্দৌলা চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তেমনি ছাত্ররা জামায়াতের অভিনয় করছে, জামায়াত তো হইলো এখানে মূলত ভ্যানগার্ড।
তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান দায়িত্বে আছেন, আমি জানিনা উনি তাদেরকে (ছাত্র নেতা) কী বলেন; আমি দায়িত্বে থাকলে এই বাচ্চা ছেলেদের সঙ্গে বসতাম না। আমি এটা পরিষ্কার বলতেছি, আমাকে ধরে নিয়ে মেরে ফেলুক। তারা এদেশের কেউ না; দে আর নো বডি।
তিনি আরো বলেন, যারা সংবিধানটা বদল করতেছে, এদের অনেক লোকের প্রতি আমার ব্যক্তিগত রেস্পেক্ট আছে। দল হিসেবে তারা তো কেউ না।
নির্বাচনে এলে কেউতো জামানত বাঁচাতে পারবে না প্রতীক না পেলে। কিন্তু আমি যে ফজলুর রহমান কথা বলতেছি, আমি শুধু আমার বাম হাতকে দাড় করলেও আমাকে হারানো কঠিন হবে।
এটা আব্দুল হামিদ এবং শেখ হাসিনা চেষ্টা করে দেখছে ফজলুরে ফেল করাইতে কত কষ্ট হয়। আমি নির্বাচনের লোভে-লাভে কোন কথা বলতে চাই না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সংস্কার কমিশনের আলী রীয়াজ একজন বিদেশি নাগরিক। হতে পারে সে বাঙালি, কিন্তু উনি ৪০ বছর ধরে মার্কিন নাগরিক।
তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব ছাড়ুক তাহলে আমি তার কথা মানবো।
গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদের নেতৃত্ব দেওয়ার প্রসঙ্গে ফজলুর রহমান বলেন, এদের দিয়ে নেতৃত্ব দেওয়ানো হয়েছে। সিরাজউদ্দৌলা সিনেমায় অভিনয় করেছে আনোয়ার হোসেন। মানুষ মনে করছে এই লোকটাই সিরাজউদ্দৌলা। কিন্তু আনোয়ার হোসেন কি সিরাজউদ্দৌলা? এই ছেলেপেলেরা জামায়াতের অভিনয় করছে, জামায়াত তো হইলো এখানে মূলত ভ্যানগার্ড।
এইটা আমি বলি না, তারাই বলতেছে। শিবির বলতেছে তারা ছিল ভ্যানগার্ড, আর ছাত্ররা এখানে অভিনয় করছে। ওই যে মেটিকুলাস প্ল্যানিংটা বাস্তবায়ন করতে এদেরকে সৃষ্টি করা হয়, এরা হলো নাটকের অভিনেতা।
এমআর/টিকে