পাকিন্তানি মডেল ও অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেশনস জজ (দক্ষিণ) পুলিশকে এই বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৫৪ ধারায় একটি মামলা রুজু করার নির্দেশ দিয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে তদন্তাধীন এই ঘটনায় অ্যাডভোকেট শাহজাইব সোহেলের করা একটি পিটিশনের প্রেক্ষিতে আদালত এই রায় দিয়েছেন। ওই পিটিশনে হুমাইরা মৃত্যুর ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করে মামলা দায়েরের আবেদন করা হয়েছিল।
আদালতের নির্দেশে পুলিশকে এখন হুমাইরার পরিবারের সদস্যদের জবানবন্দি গ্রহণ করতে হবে এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেলে দ্রুত একটি এফআইআর (ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট) দায়ের করা হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, গত ৮ জুলাই করাচির ডিফেঞ্চ ফেজ-৬-এর ইত্তেহাদ কমার্শিয়ালের একটি আবাসিক ভবনের চতুর্থ তলা থেকে হুমাইরা আসগরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ তখন এটিকে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করে তদন্ত শুরু করে।
এদিকে, আদালতে জমা দেওয়া পিটিশনে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। পিটিশনে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর হুমাইরার মৃত্যুর পরও তার ফোন ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত সচল ছিল। এক মেকআপ আর্টিস্টের কল বারবার আনসারড থাকলেও পরবর্তীতে হোয়াটসঅ্যাপের প্রোফাইল পিকচার সরিয়ে ফেলা হয়। তাই পিটিশনার ওই মেকআপ আর্টিস্ট, হুমাইরার ভাই এবং অন্যদের এই মামলার তদন্তে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানান।
পূর্ববর্তী শুনানিতে পুলিশ একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল। যেখানে তারা জানায়, মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে এবং তারা চূড়ান্ত ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন। একই সঙ্গে তারা হুমাইরার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলেও জানিয়েছিল।
পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতকে আশ্বস্ত করেছিলেন, যদি পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই একটি মামলা দায়ের করা হবে। পিটিশনে এসএসপি (দক্ষিণ) এবং এসএইচও গিজরিকেও পক্ষ করা হয়েছিল।
আদালতের সর্বশেষ নির্দেশের ফলে হুমাইরা আসগরের মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনে নতুন করে তদন্ত শুরু হলো, যা ঘটনার গভীরে যেতে এবং প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করতে সহায়ক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন সবার চোখ পুলিশের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।
এসএন