রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতে একটি বালুবাহী বাল্কহেড ডুবে গেছে। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এসময় স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করায় অল্পতে প্রাণে রক্ষা পান বাল্কহেডে থাকা সুকানি, সহকারী ও দুই শ্রমিক।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাটের অদূরে এ ঘটনা ঘটে।
৭ নম্বর ফেরিঘাটের মুদি দোকানি মোবারক জানান, মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক এলাকা থেকে বালুবোঝাই করে একটি বাল্কহেড দৌলতদিয়া ঘাটের দিকে আসছিল। ৭ নম্বর ফেরিঘাটের অদূরে এলে তীব্র স্রোতে বালুবোঝাই বাল্কহেডটি বালুর চরে আটকে পেছনের পাশ তলিয়ে যায়। পরে বাল্কহেডে থাকা সুকানি, সহকারীরা অনেক চেষ্টা করেও আগাতে পারেনি। পরে ঘাটে থাকা স্থানীয় কয়েকজন একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে তাদের উদ্ধার করে ঘাটে নিয়ে আসেন।
তিনি আরও বলেন, অদক্ষ লোক দিয়ে নদীতে বাল্কহেড চালায় মালিকেরা। এতে করে মাঝেমধ্যেই ঘাটে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীতে চলাচল করা বাল্কহেডের বেশিরভাগেরই নেই নিবন্ধন ও ফিটনেস। অদক্ষ সুকানি দিয়ে চালানো হয় এসব বাল্কহেড। এছাড়া ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ বালু পরিবহন করা হয় এতে। এসবের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কোনো তদারকি নেই। যে কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটে।
দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) ত্রিনাথ সাহা জানান, পদ্মা নদীতে চলাচল করা বাল্কহেডগুলোর বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকি। তবে বর্তমানে পদ্মা নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় আমাদের স্পিডবোর্ড নিয়ে যাওয়া খুব কষ্ট হয়। তাই একটু তদারকি কম হচ্ছে। বাল্কহেড ডুবে যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ইউটি/টিএ