আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি না হলেও কপাল খুলতে পারে কিয়েভের। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সফরসঙ্গী হয়ে ওয়াশিংটন যাওয়ার আগে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।
ইউরোপের বুকে সাড়ে তিন বছর ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সেই যুদ্ধ বন্ধে শুক্রবার বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
কিন্তু তাতে ফল আসেনি। উল্টো ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধ থামাতে জেলেনস্কিকেই উদ্যোগী হতে হবে। এরপরই ইউরোপীয় মিত্রদের নিয়ে আমেরিকা গেছেন জেলেনস্কি। গেলবার একা ওয়াশিংটন সফর করে ট্রাম্পের ধমক খেয়েছিলেন তিনি। হয়তো সেই স্মৃতি এখনো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাকে।
তাই এবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন, ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট্টে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মেয়ার্জ, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার স্টাব এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিকে নিয়ে গেছেন ওয়াশিংটন। সোমবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈশ্বিক নেতাদের বৈঠকের ইতিবাচক কিছুর অপেক্ষায় বিশ্ব।
ন্যাটোতে যোগ দিতে যাওয়াকে কেন্দ্র করেই ইউক্রেনে হামলা করে বসে রাশিয়া। এ নিয়ে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে আসছে ন্যাটো। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই জোটে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সামান্যতম অগ্রগতি হয়নি। এমতাবস্থায় ইউক্রেনের জন্য ন্যাটোর মতো নিরাপত্তা গ্যারান্টির ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে সব পক্ষ।
এমআর/টিকে