জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত র্যালি উদ্বোধনকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশের প্রতিটি জলাশয় রক্ষায় সরকার কাজ চালিয়ে যাবে।
তিনি জানান, দেশি মাছের বৈচিত্র্য টিকিয়ে রেখে মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে মৎস্যজীবীরা অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন এবং সরকার সর্বদা তাদের পাশে থাকবে।
ফরিদা আখতার বলেন, এ বছর মাছের বৈচিত্র্য রক্ষার জন্য স্লোগান ‘অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি’ তা বাস্তবায়নে দেশের মৎস্যজীবী ভাই-বোনেরা অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন।
এসময় তিনি মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আপনারা কষ্ট করে মানুষের খাদ্য যোগান দিচ্ছেন। সরকার নীতিগত ও প্রশাসনিকভাবে আপনাদের পাশে থাকবে।’
র্যালি শেষে উপদেষ্টা বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মৎস্য মেলা উদ্বোধন ও পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি মুক্তা ও ঝিনুককে জাতীয় সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘এই মেলায় মানুষ দেশের মৎস্য ও সামুদ্রিক সম্পদ সম্পর্কে জানতে পারবে।
এসময় মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের পরিচালক আলফাজ উদ্দীন শেখের মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
উল্লেখ্য, মৎস্য মেলা অনুষ্ঠানে মৎস্য খাতে ব্যবহৃত উপকরণ ও প্রযুক্তি প্রদর্শনের জন্য মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি), বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)সহ ২২টি প্রতিষ্ঠান মোট ২৫টি স্টল নিয়ে অংশগ্রহণ করেছে।
র্যালি ও মেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মো. ইমাম উদ্দীন কবীর, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ, মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মৎস্যজীবী ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
ইএ/টিকে