সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের গড় আয়ু বাড়ছে। যেখানে আগে ওই দেশে গড় আয়ু ছিল মাত্র ৬৫ বছর। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬ বছরে। সেখানকার গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৬০ সালে সিঙ্গাপুরে জন্ম নিলে একজন মানুষের গড় আয়ু হতো মাত্র ৬৫ বছর। কিন্তু স্বাধীনতার ৬০ বছর পর এখন দেশটির মানুষ বাঁচে ৮৬ বছর।
শুধু তা-ই নয়, সেখানে শতবর্ষী মানুষের সংখ্যাও বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে গণনায় এই পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে। অর্থাৎ সিঙ্গাপুর কেবল আয়ু বাড়ায়নি বরং জীবনযাপনকে আরও স্বাস্থ্যকর করেছে।
সিঙ্গাপুরের মানুষ বিশ্বের ষষ্ঠ ব্লু জোন এবং প্রথম ‘ব্লু জোন ২.০। অন্য ব্লু জোনগুলোতে মানুষ দীর্ঘজীবন পেয়েছে মূলত তাদের উন্নত জীবনযাপন, স্বাস্থ্যকর খাবার আর ইতিবাচক সমাজব্যবস্থার কারণে। ফলে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম সুস্থ জীবনযাপন করছে। কিন্তু সিঙ্গাপুরের প্রসঙ্গ ভিন্ন।
সেখানে মানুষের দীর্ঘায়ুর কারণ সরকারের স্বাস্থ্যনীতি, নগর পরিকল্পনা আর পরিবেশ রক্ষার মতো বিষয়গুলোতে বিনিয়োগের ফল। দেখা যায়, সিঙ্গাপুর দেশটি স্বাধীনতার পর থেকে অবিশ্বাস্য পরিবর্তন এসেছে।
সিঙ্গাপুরের সাফল্যের পেছনে দেশটির পরিবেশের ভুমিকা অপরিসীম। তাছাড় আধুনিক নগর পরিকল্পনার পাশাপাশি সুপরিকল্পিত স্বাস্থ্যনীতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বড় ভূমিকা রাখছে। দেশটি নগরায়ণকে এমনভাবে সাজিয়েছে, যাতে প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের যোগসূত্র অটুট থাকে। শুধু উন্নয়ন ও শৃঙ্খলায় নয়, সাংস্কৃতিক উৎসব ও বৈচিত্র্যময় খাবারের জন্যও এখন বিশ্বজুড়ে পরিচিত সিঙ্গাপুর।
ফিন্যান্স ব্লগ ‘ডলার ব্যুরো’র লেখক ফিরদাউস সিয়াজওয়ানি বলেছেন, সিঙ্গাপুরে জনস্বাস্থ্যের ইতিবাচক পরিবর্তন তিনি শৈশব থেকে প্রত্যক্ষ করেছেন। তার মতে, ধূমপান ও মদপানের ওপর উচ্চ কর এবং প্রকাশ্যে ধূমপানের কড়া নিষেধাজ্ঞা শুধু ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের উন্নতি করেনি, বরং দেশের সামগ্রিক পরিবেশকেও করেছে পরিষ্কার ও নিরাপদ।
ইএ/টিএ