ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) ২০১৯ সালের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হওয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর পদ, ছাত্রত্ব ও ডিগ্রি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তৎকালীন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত কমিটির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ দাবি জানান তিনি।
রাশেদ খান বলেন, গোলাম রাব্বানী অবৈধভাবে ছাত্রত্ব নিয়ে ডাকসু নির্বাচন করেছে। তার পদ, ছাত্রত্ব ও ডিগ্রি বাতিল করতে হবে। তিনি কোনোভাবেই জিএস নির্বাচিত হননি। শেখ হাসিনার নির্দেশে তৎকালীন উপাচার্য আখতারুজ্জামান তাকে অবৈধভাবে জয়ী ঘোষণা করেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনের সব আলামত ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। যদি নির্বাচন সুষ্ঠু হতো, তবে আলামত গায়েব করতে হতো না। উপাচার্যসহ যারা কারচুপির সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার করতে হবে।
উল্লেখ্য, ডাকসু নির্বাচনের পরই কারচুপির অভিযোগ তোলেন রাশেদ খান। সে সময় একটি তদন্ত কমিটি গঠন হলেও রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। পরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর তিনি পুনরায় উপাচার্যের কাছে অভিযোগপত্র দেন। এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোষাধ্যক্ষকে প্রধান করে নতুন করে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
রাশেদ খান বলেন, শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়ে আমাকে জিএস নির্বাচিত করেছিল, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে মূল্যায়ন করেনি। আমি এখন আর জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারব না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী আমাকে মূল্যায়ন করতে হবে। ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমি লড়াই চালিয়ে যাব।
এমকে/টিএ