ফরিদপুর মধুখালী উপজেলায় ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সম্মেলনে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৬ থেকে ৭ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার বাগাট ইউনিয়নের বাগাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই ঘটনা ঘটে।
মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন নিয়ে মধুখালী উপজেলা বিএনপি দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে বিভাজন দেখা দেয়। এর এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী কৃষক দলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন একই আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কর্মী সম্মেলনে বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতারা তাদের সমর্থকদের নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। ওই সময় শামসুদ্দিন মিয়ার সমর্থকরা বাগাট ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (বহিষ্কৃত) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলে এলে খন্দকার নাসিরুলের সমর্থকরা তাদের বাধা দেয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে নাসিরুলের সমর্থকরা শাহাবুদ্দিনের সমর্থকদের সম্মেলনস্থল থেকে তাড়িয়ে দেয়। এর প্রতিবাদে শাহাবুদ্দিনের সমর্থকরা কিছু সময়ের জন্য সামনের ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় মিজানুর রহমানসহ দুই পক্ষের অন্তত আটজন আহত হন। আহতরা মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে মধুখালী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তাবিত কমিটির আহ্বায়ক মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে বাগাট ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মধুখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রাকিব হোসেন বলেন, সম্মেলনের শুরুতে একটু ঝামেলা হয়েছিল। মারামারির ঘটনা ঘটেছিল। তবে তা দ্রুতই মিটে যায় এবং সম্মেলন নির্বিঘ্নে শেষ হয়।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম নূরুজ্জামান বলেন, উপজেলার বাগাটে বিএনপির কর্মী সম্মেলনে হাতাহাতি ঘটনা ঘটেছে। তবে কেউ আহত হয়েছে এমন খবর পাইনি। হাতাহাতির খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরে বিএনপির কর্মী সম্মেলন শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে।
কেএন/টিএ