জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময় অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আজ (শনিবার) দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের বিএডিসি হিমাগার পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শুধু নির্বাচন উপলক্ষ্যে না, দেশে অন্য সময়ও যেন কোনো ধরনের অস্ত্র ঢুকতে না পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আজকেও কিন্তু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার একটা চলমান প্রক্রিয়া। ডেইলি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। ইলেকশনের আগে আমরা আশা করছি প্রায় সব অস্ত্র আমরা উদ্ধার করে ফেলবো।
নির্বাচনের সময় বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ত্র ঢোকার একটা প্রবণতা আগেও দেখা গেছে, আগামী নির্বাচনকে ঘিরে এই ধরনের প্রবণতা আটকানোর জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অস্ত্র উদ্ধারে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শুধু নির্বাচনে না, অন্য সময়ও যেন দেশে কোনো অস্ত্র ঢুকতে না পারে এজন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি যেভাবে নেওয়া দরকার আমরা সেভাবেই নিচ্ছি। আল্লাহ দিলে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন করতে আমাদের কোনো ধরনের অসুবিধা হবে না। আমাদের চিফ এডভাইজার যে তারিখ বলে দিয়েছেন আমরা ওইভাবে ইলেকশন করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।
নির্বাচন উপলক্ষে ফেসবুকে নানান ধরনের প্রোপাগান্ডা করা হচ্ছে। নির্বাচন কেন্দ্র করে আ. লীগ আপনাদের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না- এরকম বক্তব্য তারা রাখছে। এ বিষয়টা আপনারা কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন দেশ হলো স্বাধীন দেশ। আপনারা কিন্তু আগে অনেক কিছু প্রকাশ করতে পারেননি। এখন আপনারা সবকিছু প্রকাশ করতে পারেন। এজন্য যার যার মত সে প্রকাশ করতে পারে। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। মানে জনগণ যেই সময় নির্বাচনমুখি হয়ে যাবে, পলিটিক্যাল পার্টিগুলো যখন নির্বাচনমুখি হয়ে যাবে, সেই সময় দেখবেন এইসব কিছুতে কেউ কোনো বাধা দিতে পারবে না। জনগণ আমাদের মেইন ফ্যাক্টর। যেহেতু সবাই নির্বাচনমুখি হয়েছে নির্বাচন করতে কোনো অসুবিধা হবে না।
সীমান্ত কতটা নিরাপদ? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা দেখছেন আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ। সীমান্ত নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। আমাদের জনগণও কিন্তু সাংঘাতিক সচেতন। বর্ডার বেল্টে আমাদের যেইসব জনগণ আছে তারা কিন্তু খুবই সচেতন।
টিকে/