নির্বাচনকে ঘিরে ডাকসু’র সাবেক জিএস প্রার্থী মাহিন সরকারের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও তা সম্পূর্ণ গুজব ও অপপ্রচার বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবার ও স্থানীয় এনসিপি নেতারা। বেলকুচিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মাহিনের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, যা নিয়ে শিগগিরই আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মুসা হাসেমী লিখিত বক্তব্যে বলেন, মাহিন সরকার দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর থেকে ফেসবুকে তাঁর বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। শুক্রবার নৌবাহিনীর অভিযানে আলিফ নামে এক ব্যক্তি গ্রেপ্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপপ্রচার চালানো হয়। তিনি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
মুসা হাসেমী বলেন, আলিফ নামের নাবিককে তাঁর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাহিন সরকার ও তাঁর পরিবারের সম্মানহানির জন্য একটি মহল ফেসবুকে সরব হয়ে ওঠে। ‘মাহিন সরকারের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে’– এমন গুজব ছড়াতে শুরু করে।
মাহিন সরকার ও তাঁর পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন জানিয়ে মুসা হাসেমী বলেন, মাহিনের বাড়িতে কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য যাননি। আলিফ নামে যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁর সঙ্গে মাহিন ও তাঁর পরিবারের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেন এনসিপির উপজেলা প্রতিনিধি।
এ সময় যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে, তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করেন মুসা হাসেমী। সংবাদ সম্মেলনে মাহিনের বোন মাহিমা হীমা সরকার, এনসিপি প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান মনি, আলীম সরকার, হোসাইন আহম্মেদ, শফি আল মাশরাফি, গোলাম রাব্বি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, শুক্রবার ফেসবুকে মাহিন সরকারের বাড়ি থেকে ‘সাড়ে ৭ কোটি টাকা উদ্ধার করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাদা পোশাকধারী সদস্যরা’– এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে এনসিপির বহিষ্কৃত যুগ্ম সদস্যসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জিএস প্রার্থী মাহিন সরকার বলেন, ‘এলাকার দুই-একজন মাদক কারবারি, যারা পতিত সরকারের সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাসের অনুসারী, তারা ফেসবুকে এ ধরনের অপপ্রচার করেছেন। এতে আমার ও পরিবারের সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
ইএ/টিকে