আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন। ভোট কেনা বন্ধে আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন উৎসে নজরদারি করা হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে দুদক ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান চেয়ারম্যান।
অন্তর্বর্তী সরকার আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই তোড়জোড় শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (২৫ আগস্ট) দুদক চেয়ারম্যান জানালেন, নির্বাচন ঘিরে কালো টাকা ছড়াছড়ি ও ভোট কেনাবেচা বন্ধে কাজ করবেন তারা।
আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের দেশে ভোটার কেনার একটা প্রবণতা আছে। টাকার সরবরাহ বাড়লে দুইটা দিক থাকে। একটা হচ্ছে ডিমান্ড সাইড এবং আরেকটা হচ্ছে সরবরাহ সাইড। ভোটার তো কিছু একটা চাইবেই। আমাদের আসলে বন্ধ করতে হবে সাপ্লাই সাইডটা। সেক্ষেত্রে আমাদের ব্যাংকিং ইন্টেলিজেন্স আছে, আমাদেরও কিছু ভূমিকা আছে। আমরা চেষ্টা করবো, যতটা সম্ভব যেন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
একইসঙ্গে নির্বাচনী হলফনামায় প্রার্থীরা অস্বাভাবিক রকমের মিথ্যা তথ্য দিলে, তা রোধে এনফোর্সমেন্ট টিমসহ বিশেষ পরিকল্পনার কথা জানান চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে যারা প্রার্থী হবেন, তারা তো তাদের সম্পদের বিবরণ দেবেন। তারপরেও যদি মনে হয়, তারা কিছু লুকাচ্ছেন, তখন সেটা অভিযোগ আকারে দুদককে দেবেন। দুদক সেই অনুযায়ী কাজ করবে।’
এফপি/ টিএ