৫ গোলের জয় দিয়ে মৌসুম শুরু করলো ইন্টার মিলান

‘৫-০’ দুঃস্বপ্ন অনেক দিনই হয়তো তাড়িয়ে বেড়াবে ইন্টার মিলানকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফাইনালে এভাবেই তারা বিধ্বস্ত হয়েছিল পিএসজির কাছে। সেই ধাক্কা পেছনে ফেলার লড়াইয়ে নতুন মৌসুমের শুরুটা করল তারা একই ব্যবধানের জয়ে। সেরি আ-তে এতটা ভালো শুরু গত পাঁচ যুগের মধ্যে পায়নি তারা।

সাস সিরোয় সোমবার তুরিনোকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযান শুরু করল ইন্টার মিলান।

লিগের প্রথম ম্যাচে ৫ গোলের ব্যবধানে জয় পেল তারা সেই ১৯৬১ সালের পর প্রথমবার।



দুটি গোল করেন মার্কাস থুরাম, একটি করে আলেসান্দ্রো বাস্তোনি, লাউতারো মার্তিনেস ও আঁজ-ইয়োয়ান বনি।

৫ গোলেও পুরোপুরি বোঝা যাচ্ছে না ইন্টার মিলানের দাপট। গোল হতে পারত আরও বেশি। গোলে ২০টি শট নেয় তারা, এর ৯টি ছিল লক্ষ্যে। তুরিনোকে অসহায় বানিয়ে স্রেফ যেন ছেলেখেলায় মেতে ওঠে তারা।

ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজার পর থেকেই ছিল ইন্টারের দাপট। প্রথম মিনিটেই থুরামের হেড অল্পের জন্য বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। অষ্টাদশ মিনিটে কর্নার থেকে বাস্তোনির হেডে এগিয়ে যায় তারা।

প্রথমার্ধেই ব্যবধান বাড়ান থুরাম। পরে ৫১তম মিনিটে গোল করেন অধিনায়ক আর্জেন্টাইন তারকা মার্তিনেস। থুরামের দ্বিতীয় গোল আসে ৬২তম মিনিটে। গত মাসেই দলে যোগ দেওয়া ২১ বছল বয়সী ফরাসি ফরোয়ার্ড বনি গোল করেন ৭২তম মিনিটে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের ৫ গোল হজমের স্মৃতির কারণেই কি না, এই ম্যাচে ৫ গোল করার চেয়েও গোল না খাওয়ার তৃপ্তির কথা বললেন থুরাম।

“এই জয়ের মানে হলো আমরা কোনো গোল হজম না করে ভালোভাবে শুরু করেছি, এটা গুরুত্বপূর্ণ। এখনও পর্যন্ত শতভাগ তৈরি নই আমরা, সখানে পৌঁছতে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছি। তবে এটি ভালো ম্যাচ ছিল।”

গত মৌসুমে এক পর্যায়ে ‘ট্রেবল’ জয়ের হাতছানি ছিল ইন্টার মিলানের সামনে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জেতা হয়নি কোনোটিই। বিশেষ করে লিগে রানার্স আপ হওয়া ও পরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে গুঁড়িয়ে যাওয়ায় তাদের মৌসুম রূপ নেয় হতাশায়।

নতুন মৌসুমে অবশ্য নতুন রূপেই নিজেদের মেলে ধরতে চান থুরাম। “গত মৌসুমে যা হয়েছে, এখন তা অতীত। এটা নতুন অভিযান, আগের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা শিখেছি।”

একই সুর শোনা গেল বাস্তোনির কণ্ঠেও। “আমরা সবাই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ছিলাম এবং গত মৌসুমের শেষটা কঠিন হলেও দেখিয়ে দিতে চেয়েছিলাম যে আমাদের তাড়না কতটা এবং আমরা কী করতে পারি।”

এসএস/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিশ্বসেরা ১০০ পরিবেশবান্ধব কারখানার ৬৮টিই বাংলাদেশের: বিজিএমইএ Aug 26, 2025
img
তিন ওয়ার্ড ঢাকা-২ আসনের সঙ্গে রাখার দাবি এলাকাবাসীর Aug 26, 2025
img
চলতি বছরেই কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক করতে চান ট্রাম্প Aug 26, 2025
img
নেসকো ঘেরাও করে বিক্ষোভে রুয়েটের শিক্ষার্থীরা Aug 26, 2025
img
হিজাবের ছবিতে কটূ মন্তব্য, কড়া জবাব দিলেন প্রভা Aug 26, 2025
img
‘জন্ম দিলেই আপন হয় না’, পোস্টে কী বার্তা দিলেন সঞ্জয় কন্যা? Aug 26, 2025
img
নতুন চার খেলোয়াড়সহ এশিয়া কাপ স্কোয়াড ঘোষণা ওমানের Aug 26, 2025
img
নির্বাচনবিরোধীরা রাজনীতির মাঠ থেকে মাইনাস হয়ে যাবে: সালাহউদ্দিন Aug 26, 2025
img
দুর্বৃত্তের হামলায় ঢামেকে এক যুবক চিকিৎসাধীন Aug 26, 2025
img
শেয়ারবাজারের প্রতারক চক্র গোয়েন্দা সংস্থার নজরে : ডিএসই Aug 26, 2025
img
খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা: বুলু Aug 26, 2025
img
কোচ রাজিন সালেহ স্কোয়াড নিয়ে খুশি, ধন্যবাদ জানিয়েছেন নির্বাচকদের Aug 26, 2025
img
রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন দাখিল ২৯ সেপ্টেম্বর Aug 26, 2025
img
আজ বৈঠকে বসবেন নেতানিয়াহু, আসতে পারে নতুন সিদ্ধান্ত! Aug 26, 2025
img
১৮০ দেশে একযোগে চালু হলো গুগলের এআই মোড Aug 26, 2025
img
ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দিতে প্রস্তুত কেন্দ্রীয় ব্যাংক Aug 26, 2025
img
উপজেলা পর্যায়ে প্রতি কেজি ২৪ টাকায় বিক্রি হবে খোলা আটা Aug 26, 2025
img
প্রেম আর টানাপোড়েনের আবেগঘন কাহিনি নিয়ে আসছে ‘গুস্তাখ ইশ্‌ক’ Aug 26, 2025
img
যুদ্ধ আর প্রেমে ব্যস্ত ভিকি, আপাত পেছাল ‘মহাবতার’ এর শ্যুটিং Aug 26, 2025
img
পদ্মার এক কাতল বিক্রি হলো ৩২ হাজার টাকায় Aug 26, 2025