‘রোহিতকে সরানোর জন্যই ব্রঙ্কো টেস্ট এনেছে বিসিসিআই’

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নতুন ফিটনেস পরীক্ষা ‘ব্রঙ্কো টেস্ট’ ঘিরে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। রাগবির মতো কঠিন এই ফিটনেস পরীক্ষাটি কি শুধুই ফিটনেস বাড়ানোর জন্য, নাকি এর আড়ালে আছে অন্য কোনো উদ্দেশ্য? ভারতের সাবেক ব্যাটার মনোজ তিওয়ারির দাবি অবশ্য পরেরটা।

বাংলার এই ব্যাটার বলছেন এই টেস্ট চালুর মূল লক্ষ্য হতে পারে ওয়ানডে অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে ২০২৭ বিশ্বকাপের পরিকল্পনা থেকে ছেঁটে ফেলা।

ক্রিকট্র্যাকারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিওয়ারি বলেন, ‘ভিরাট কোহলিকে বাদ দেওয়া সহজ হবে না, তবে রোহিত শর্মাকে নিয়ে আমি সন্দিহান। আমি মনে করি ব্রঙ্কো টেস্ট চালুর আসল উদ্দেশ্যই হলো রোহিতকে বাদ দেওয়ার পথ তৈরি করা। ভারতীয় ক্রিকেটে যা চলছে আমি খুব মনোযোগ দিয়ে দেখি। মনে হচ্ছে যাদের ভবিষ্যতে দলে দেখতে চায় না, বিশেষ করে রোহিত শর্মার মতো ক্রিকেটারদের সরাতেই এ টেস্ট আনা হয়েছে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটা এখন পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেটে চালু হওয়া সবচেয়ে কঠিন ফিটনেস টেস্টগুলোর একটি। প্রশ্ন হলো -হঠাৎ এখন কেন? নতুন কোচ আসার পর থেকেই তো এটা চালু করা যেত! কার মাথা থেকে এসেছে এই আইডিয়া? কেন হঠাৎ এটি কার্যকর হলো? আমি উত্তর জানি না, তবে আমার পর্যবেক্ষণ বলছে, রোহিত যদি ফিটনেস নিয়ে বাড়তি পরিশ্রম না করেন তবে ব্রঙ্কো টেস্টই তার জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।’

ব্রঙ্কো টেস্টে খেলোয়াড়দের ২০, ৪০ ও ৬০ মিটার করে একাধিক শাটল রান দিতে হয়। এতে উচ্চমাত্রার স্ট্যামিনা ও দৌড়ানোর সক্ষমতা প্রমাণ করতে হয়। ভারতের ফিটনেস অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ অ্যাড্রিয়ান লে রক্সই মূলত এই টেস্ট প্রস্তাব করেন, যাতে বিশেষ করে পেসাররা বেশি দৌড়ানোর সক্ষমতা অর্জন করতে পারেন।

কোহলি-রোহিতের ভবিষ্যৎ

এদিকে ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে রোহিত শর্মা ও ভিরাট কোহলি দুজনেই দলে থাকতে চান। তবে বিসিসিআইয়ের এই সিদ্ধান্তে রোহিতের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, গৌতম গম্ভীরও নাকি বোর্ডের সঙ্গে একমত হয়েছেন এই ফিটনেস পরীক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে।

একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে -এই টেস্ট কি সত্যিই ভারতীয় ক্রিকেটারদের ফিটনেস উন্নয়নের জন্য, নাকি এর আড়ালে লুকিয়ে আছে বড় কোনো পরিকল্পনা? উত্তর দেবে সময়ই।

পিএ/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
রুমিন ফারহানা জানালেন ‘ফকিন্নির বাচ্চা’ মন্তব্যের অর্থ Aug 27, 2025
img
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কার্যকর সমাধান চায় আপিল বিভাগ Aug 27, 2025
img
অভিনেত্রীকে চুমুর ঘটনায় চাঞ্চল্য, অজয়কে নিয়ে ক্ষুব্ধ কাজল Aug 27, 2025
নারীবান্ধব ক্যাম্পাস তৈরিতে ভূমিকা রাখবো Aug 27, 2025
প্রেমের হইচই, শাহরুখ কন্যা ও সালমানের ভাতিজা! Aug 27, 2025
img
২৯ বছরে তিনটা মন্ত্রণালয় পেলে ওয়েস্টিন ছাড়া নাস্তা করবে?: প্রশ্ন মাসুদ কামালের Aug 27, 2025
img
উদ্দেশ্য সফল হয়নি, ফাঁদে পা দেয়নি বিএনপি : মাসুদ কামাল Aug 27, 2025
img
সুযোগ পেলে ডিআরএস বন্ধ করতে চান শচীন Aug 27, 2025
img
ছবি বিকৃতির মতো কাজ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: ছাত্রশিবির Aug 27, 2025
img
সীমানা পুনর্নির্ধারণের শেষ দিন আজ Aug 27, 2025
img
জম্মু-কাশ্মিরে ভূমিধসে নিহত বেড়ে ৩১, আরও হতাহতের আশঙ্কা Aug 27, 2025
img
গাজায় নিহত আরও ৬৪, মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে প্রাণ গেল ১৩ জনের Aug 27, 2025
মহসিন হলের ঘটনায় ডাকসু নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না: ঢাবি প্রক্ট Aug 27, 2025
img
অভ্যুত্থানসহ আন্দোলন-সংগ্রামের অনুপ্রেরণা কাজী নজরুল: রিজভী Aug 27, 2025
img
আবু সাঈদ হত্যা : ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু আজ Aug 27, 2025
img
ভারতকেই ফেভারিট হিসেবে দেখছেন ওয়াসিম আকরাম Aug 27, 2025
img
ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল রায়ের পুনর্বিবেচনা, পুনরায় শুনানি আজ Aug 27, 2025
img
ফেনীতে বিএনপির দুইগ্রুপের হাতাহাতি Aug 27, 2025
img
ইনস্টাগ্রামে শর্টস লুকে সুহানা, বাবার মন্তব্যে নেটদুনিয়া সরগরম Aug 27, 2025
img
আর্থিক অনিয়মে নজরদারির আওতায় ব্যাংকিং সেক্টর Aug 27, 2025