প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমন করার প্রবণতা অত্যন্ত হতাশাজনক: ছাত্রশিবির

সমস্যার ভারসাম্যপূর্ণ সমাধান না করে বরং প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে দমন করার প্রবণতা অত্যন্ত হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছে ছাত্রশিবির।

বুধবার (২৭ আগস্ট) ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন।

নেতারা বলেন, প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের নির্দিষ্ট দাবি-দাওয়া নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে পূর্বনির্ধারিত ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অন্যায়ভাবে টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের আহত করেছে। নতুন বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

তারা আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি-দাওয়া উত্থাপন করার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়াকে সব সময়ই ইতিবাচকভাবে নিয়ে তার ন্যায়সংগত সমাধান করা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে, ফলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।

‘বিশেষ করে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে দুটি ভিন্ন ধারায় বিভক্ত হয়ে নিজ নিজ দাবি নিয়ে সারা দেশে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন মহল থেকে বারবার দীর্ঘমেয়াদি এই সংকট নিরসনের জন্য প্রশাসনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হলেও আজও কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। সমস্যার ভারসাম্যপূর্ণ সমাধান না করে বরং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে দমন করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যা অত্যন্ত হতাশাজনক।’

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলোর শান্তিপূর্ণ, কার্যকর ও ন্যায়সঙ্গত সমাধানের ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানান। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের ওপর যারা অতিউৎসাহী হয়ে হামলা চালিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এমআর/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পিআর টিআর বুঝি না, আগের পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে : বুলু Aug 27, 2025
img
দাবি পূরণ না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের Aug 27, 2025
img
ইয়াবাসহ কাভার্ডভ্যানের চালক-হেলপার গ্রেফতার Aug 27, 2025
img
প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করলেন ডিএমপি কমিশনার Aug 27, 2025
img
রাতের বেলা গায়েবি নোটিশ আসে : সাদিক কায়েম Aug 27, 2025
img
দুঃখ প্রকাশ করলেন রুমিন ফারহানা Aug 27, 2025
img
গাজা পরিস্থিতি নিয়ে আজ বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প Aug 27, 2025
img
আইনগত আরও পদক্ষেপ নিলে মনে হয় দেশেই থাকা হবে না : ডিসি মাসুদ Aug 27, 2025
img
শিল্পা শেট্টির ঘরে এ বছর গণপতি এলেন না, শোকে ডুবল পরিবার Aug 27, 2025
img
নির্বাচন পেছালে উগ্রবাদের উত্থান ঘটতে পারে : রিজভী Aug 27, 2025
img
বাবরকে স্ট্রাইক রেট উন্নতি করতে বলায় হারিসকে লাঠিপেটা করতে চেয়েছেন বাসিত আলী Aug 27, 2025
img
নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষিকা নিহত Aug 27, 2025
img
বরিশালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ঘোষণা Aug 27, 2025
img
আইভরি কোস্টে প্রেসিডেন্ট লড়াইয়ে প্রার্থিতা জমা দিলেন ৬০ জন! Aug 27, 2025
img
বাহরাইনের আন্ডার সেক্রেটারির সঙ্গে বৈঠক করলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত Aug 27, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকারের ‘গায়েবানা জানাজা’ পড়লেন শিক্ষার্থীরা Aug 27, 2025
img
ম্যান ইউ ছাড়ছেন ব্রুনো, গন্তব্য মেসি না রোনালদোর লিগ? Aug 27, 2025
img
চার দিনে ৮৪ আসনের মোট ১৮৯৩ আবেদন নিষ্পত্তি করল ইসি Aug 27, 2025
img
তিন ভারতীয় ব্যাটারকে বোলিং করতে ‘ভয়’ পান উড! Aug 27, 2025
img
প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ নিয়ে যা জানাল ডিএমপি Aug 27, 2025