ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেয়ার পর ক্লাবটাকে টেনে নিয়ে চলেছেন ব্রুনো ফার্নান্দেস। 'গ্লোরি' হারিয়ে ফেলা রেড ডেভিলদের পথে ফেরাতে যা একটু চেষ্টা এই পর্তুগিজই করছেন। সময়ের পরিক্রমায় ক্লাবের অধিনায়কের আর্মব্যান্ডও এখন তার হাতে। সৌদি আরবের ক্লাবগুলোর তার প্রতি প্রবল আগ্রহ থাকলেও টাকার বস্তার লোভকে পাশ কাটিয়ে 'থিয়েটার অব ড্রিম'–এই মজে আছেন এই ৩১ বছর বয়সী। তবে কতদিন আর পাশ কাটানো যায়!
সৌদি ক্লাব আল হিলালের বিশাল অঙ্কের বেতনের প্রস্তাবকে 'না' বলে এই মৌসুমটা ওল্ড ট্রাফোর্ডেই কাটানোর সিদ্ধান্তের কথা আগেই জানিয়েছেন ব্রুনো ফার্নান্দেস। তবে আগামী মৌসুমে আর একই ঘটনা না–ও ঘটতে পারে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অধিনায়ক ব্রুনো নাকি মেজর লিগ সকার (এমএলএস) বা সৌদি প্রো লিগে খেলার ব্যাপারে আগ্রহী। আগামী মৌসুমে নাকি ওল্ড ট্রাফোর্ড ছাড়ার কথা ভাবছেন এই পর্তুগিজ।
এমন বিস্ফোরক খবরই দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইউনাইটেডের এই স্কিপার ২০২৫-২৬ মৌসুমের শেষে ইউনাইটেড ছাড়ার ব্যাপারে সম্মত, যেন ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে তার পর্তুগালের হয়ে খেলার প্রস্তুতিতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে। তবে, এর পর তিনি সৌদি আরব, এমএলএস বা ইউরোপের অন্য কোনো বড় লিগে যাওয়ার কথা ভাবতে পারেন।
ব্রুনো এর আগে সৌদি ক্লাব আল-হিলাল থেকে আসা মোটা অঙ্কের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, কারণ ইউনাইটেড তাদের প্রধান তারকাকে ছাড়তে রাজি ছিল না। তবে ২০২৬ সালে, যখন ফার্নান্দেজ ৩৩ বছরে পা দেবেন, তখন রেড ডেভিলসরা হয়তো তার ব্যাপারে প্রস্তাব শোনার জন্য প্রস্তুত থাকবে।
স্পোর্টিং সিপি থেকে আসা এই তারকার সঙ্গে সেই সময় ইউনাইটেডের এক বছরের চুক্তি বাকি থাকবে, যা অনুযায়ী সপ্তাহে ২ লাখ ৮০ হাজার পাউন্ড বেতন পান এই পর্তুগিজ। যদিও ইউনাইটেড চাইলে চুক্তি আরও এক বছরের জন্য বাড়াতে পারবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রুনোর এই গ্রীষ্মে দল ছাড়ার সম্ভাবনা কম। তবে পরিস্থিতি বদলাতে পারে যদি আল-ইত্তিহাদ আগামী ১০ সেপ্টেম্বর সৌদি ট্রান্সফার উইন্ডো বন্ধ হওয়ার আগে তাকে বিশাল অঙ্কের প্রস্তাব দেয়। শোনা যাচ্ছে, সেখানে গেলে তিনি তার বর্তমান বেতনের চেয়েও চার গুণ বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
এমআর/টিএ