ডাকসুর আচরণবিধি না মানার অভিযোগ ওঠেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ স্বতন্ত্র ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে নির্বাচন কমিশন থেকে নির্দেশনা দেওয়ার পরেও কোনো ব্যানার বা ফেস্টুন সরায়নি বিভিন্ন প্যানেলের লোকজন। পরে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে টাঙানো ব্যানার, ফেস্টুন ও বোর্ড সরিয়ে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আচরণবিধির ধারা-৭(ক) অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচারণার জন্য কেবলমাত্র সাদা কালো পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ছাপানো ও বিলি করা যাবে। পিভিসি/কাপড় বা অন্য কোনো মাধ্যমে ছাপানো বা লেখা ব্যানার/ফেস্টুন/বোর্ড টাঙানো যাবে না।
যেসব প্রার্থী ইতিমধ্যে ব্যানার/ফেস্টুন/বোর্ড টাঙিয়ে প্রচার চালাচ্ছে, তাদেরকে আজকের মধ্যে তা সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। সবাইকে আচরণবিধি মেনে প্রচার-প্রচারণা চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হলো।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়-
(ক) সাদা কালো পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ছাপানো ও বিলি করা যাবে।
(খ) পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল-এ কোনো প্রার্থী নিজের সাদাকালো ছবি ব্যতীত অন্য কারো ছবি বা প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না।
(গ) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও হল এলাকায় অবস্থিত কোনো প্রকার স্থাপনা, দেয়াল, যানবাহন, বেড়া, গাছ-পালা, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটি বা অন্য কোনো দণ্ডায়মান বস্তুতে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগানো যাবে না।
(ঘ) কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল-এর ক্ষতিসাধন করা যাবে না।
(ঙ) কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো ছাত্র সংগঠন, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কোনো কোনো কালি বা চুন বা কেমিক্যাল দ্বারা দেয়াল বা যানবাহনে কোনো লিখন, মুদ্রণ, ছাপচিত্র বা চিত্রাঙ্কন করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবে না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের কর্মচারীরা জানান, মঙ্গলবার রাতে চিফ রিটার্নিং অফিসারের সই করা ‘অতি জরুরি’ বিজ্ঞপ্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে সব ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বেশিরভাগই সরায়নি। পরে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আজ বুধবার সেগুলো নামিয়ে ফেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এমকে/টিএ