ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কোয়াড সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ।
শনিবার (৩০ আগস্ট) নিউইয়র্ক টাইমসের ‘দ্য নোবেল প্রাইজ অ্যান্ড আ টেস্টি ফোন কল: হাউ দ্য ট্রাম্প-মোদি রিলেশনশিপ আনরাভেল্ড’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ট্রাম্পের সফর সম্পর্কে জানাশোনা আছে এমন কর্মকর্তাদের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প (গত ১৭ জুন ফোনালাপে) মোদিকে বলেছিলেন, চলতি বছরের শেষের দিকে কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসবেন। কিন্তু শরতে ভারত সফরের এই পরিকল্পনা এখন মার্কিন প্রেসিডেন্টের নেই।
নিউইয়র্ক টাইমসের এই দাবির বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ভারতীয় সরকারের কাছ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ভারত এই বছরের শেষের দিকে কোয়াড শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করার কথা রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদ ক্ষমতা গ্রহণের পরদিন কোয়াডভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই নেতার সম্পর্ক অবনতি হয় শুল্কারোপ ও পাকিস্তান নিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত দাবির কারণে। গত জুনে জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের সময় দুই নেতার ৩৫ মিনিটের ফোনালাপে ট্রাম্প দাবি করেন, ভারত-পাকিস্তান সংঘাত তিনিই বন্ধ করেছেন এবং পাকিস্তান তাকে নোবেলের জন্য মনোনীত করতে চায়। কিন্তু মোদি জানিয়ে দেন, এ সংঘাতের মীমাংসা হয়েছিল দুই দেশের সেনাদের মধ্যকার সরাসরি আলোচনায়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল না।
এই ফোনালাপের আগে ওই মাসেই কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭–এর শীর্ষ সম্মেলনের এক ফাঁকে মোদি-ট্রাম্প বৈঠক করার কথা ছিল। কিন্তু ট্রাম্প আগেভাগে দেশে ফেরায় তাদের পূর্বনির্ধারিত সেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। মূলত এই নির্বারিত বৈঠক না হওয়ায় ১৭ জুন তারা ফোনালাপ করেছিলেন। কিন্তু ৩৫ মিনিটের এই ফোনালাপ দুই নেতার সম্পর্ক ভালো করার পরিবর্তে আরও তিক্ত করেছে।
এছাড়া ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লির সম্পর্ক তিক্ত হওয়ার পেছনে ভারতের পণ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্কও বড় ভূমিকা রেখেছে। গত বৃহস্পতিবার এই শুল্ক কার্যকর শুরু হয়েছে।
এমআর/টিকে