নুরের গুরুতর শারীরিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে, বিদেশে চিকিৎসার দাবি রাশেদ খানের

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের গুরুতর শারীরিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে তাকে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। তিনি বলেন, নুরের মাথা ও মুখে আঘাতের কারণে দুই চোখ এবং নাকের হাড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই অবস্থায় উন্নত চিকিৎসা না হলে স্থায়ী জটিলতা তৈরি হতে পারে।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের নিজস্ব আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে রাশেদ খান এই দাবি জানান।

পোস্টে রাশেদ খান বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা না গেলে পরবর্তীতে স্থায়ী ড্যামেজের সম্ভাবনা থাকবে। কারণ আঘাত লেগেছে দুই চোখে এবং নাকের হাড় ভেঙে গেছে। এটা সেনসিটিভ স্থান। উন্নত চিকিৎসা ছাড়া বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হতে পারে।’

দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর আমাদের আস্থা আছে। কিন্তু নানা কারণে বাংলাদেশে নুরুল হক নুরের চিকিৎসায় নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে। তাকে সুস্থ দেখানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে। কিন্তু কীভাবে মুখে ও মাথায় আঘাত করা হয়েছে, তা দেশবাসী দেখেছেন। এই হামলার পেছনে কোনো বড় ধরনের পরিকল্পনা না থাকলে মাথায় ও মুখে আঘাত করার কথা নয়।’

রাশেদ আরও উল্লেখ করেন, ‘অনতিবিলম্বে নুরুল হক নুরের নিরাপত্তা বিবেচনায় বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, নুরুল হকের মাথার হাড়, নাক ও চোয়ালের হাড় ভেঙে গেছে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং এক চোখে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন এবং মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। যদিও আপাতত তিনি স্থিতিশীল আছেন, তবে এখনও তাকে শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।

এমকে/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ঘরের মাঠেই ক্যারিয়ারের শেষ পর্দা নামাতে যাচ্ছেন মেসি! Sep 04, 2025
img
দুপুরের মধ্যে ৭ জেলায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস Sep 04, 2025
img
গাজীপুরে কাঁচাবাজারে অগ্নিকাণ্ড, অর্ধশত দোকান ভস্মীভূত Sep 04, 2025
img
জেনে নিন, দেশে স্বর্ণ ও রুপার আজকের বাজারদর Sep 04, 2025
img
টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা লিটনের! Sep 04, 2025
img
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা : তারেক রহমান ও বাবরসহ সব আসামির খালাসের রায় বহাল Sep 04, 2025
img
স্বামীর চেয়ে ১০ বছরের বড় হওয়ায় ভেঙে যায় অভিনেত্রীর সংসার Sep 04, 2025
img
নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন এখনো বাস্তবে রূপ নেয়নি : জিল্লুর রহমান Sep 04, 2025
img
এখনো ডাকসু না হওয়ার সম্ভাবনা আছে : শরিফ ওসমান হাদী Sep 04, 2025
img
ঢাকায় বৃষ্টির আভাস, কমতে পারে তাপমাত্রা Sep 04, 2025
img
বিপ্লবোত্তর দেশে দ্রুত নির্বাচন না হলে গৃহযুদ্ধ হয় : আমীর খসরু Sep 04, 2025
img
গাজায় ইসরায়েলের তীব্র বোমাবর্ষণে একদিনে প্রাণ গেল কমপক্ষে আরও ৭৩ জনের Sep 04, 2025
img
তারেক রহমান ও বাবরসহ সব আসামিকে খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের রায় আজ Sep 04, 2025
img
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড Sep 04, 2025
img
গত এক মাসে বাংলাদেশে যা যা ঘটনা ঘটেছে, তা ষড়যন্ত্রের অংশ : শামা ওবায়েদ Sep 04, 2025
img

নিলোফার মনি

নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে দ্বিমুখী কথা বলছে জামায়াত Sep 04, 2025
img
জামায়াত নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত : আব্দুল মান্নান Sep 04, 2025
img
পর্তুগালে ভয়াবহ ক্যাবল রেল দুর্ঘটনায় ১৫ জনের প্রাণহানি Sep 04, 2025
img
১৫০ বছর বাঁচা নিয়ে পুতিন-শি জিনপিংয়ের আলোচনা Sep 04, 2025
img
ইউটিউবের সুপারস্টার ভুবন বাম বলিউডে! Sep 04, 2025