কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ-পূবে সাগর থেকে আবারও তিনটি ট্রলারসহ ১৭ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা।
রোববার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ-পূব দিকে সীতা নামক এলাকায় মাছ ধরার সময় অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে তাদের ধরে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন জেটিঘাটের ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজিম।
তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের গলাচিপার মো. আফসার, আবু তাহের ও মোহাম্মদ আলমগীরের মালিকানাধীন ফিশিং ট্রলারগুলোকে স্পিডবোটে আরাকান আর্মি সদস্যরা ধাওয়া করে জিম্মি করেন। এ সময় আফসারের ভাই নুরুল ইসলামের মালিকানাধীন ফিশিং ট্রলারটি পালিয়ে এসে বিষয়টি জানিয়েছেন। এখন পর্যন্ত জেলেদের কোনো খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি।’
এর আগে গত ৫ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ২৩ দিনে ১০টি ট্রলার ৬৩ জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছে ট্রলার মালিকরা।
ফলে গত ২৬ দিনে ১৩ট ট্রলারসহ ৭৮ জনকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। যাদের খবর পাচ্ছে না স্বজনরা।
এ নিয়ে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আরাকান আর্মি ২৮২ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রচেষ্টায় কয়েক দফায় ১৮৯ জন জেলে এবং ২৭টি নৌযান ফেরত আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে গত ২৮ আগস্ট দুপুরে বিজিবির রামু সেক্টর দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় কথা বলেন সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি জানিয়েছিলেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশি ৫১ জন জেলে আরাকান আর্মির কাছে জিম্মি রয়েছেন। সীমান্ত নন-ফ্যাক্টর গোষ্ঠী হলেও তাদের সঙ্গে বিজিবির আন-অফিসিয়াল যোগাযোগ রয়েছে। জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তাদের সঙ্গে আলাপ হচ্ছে। আমরা তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করছি, যেন আর কোনো জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়া না হয়।
পিএ/এসএন