সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারার পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। টানা তিনটি সিরিজ জিতে টাইগাররা এখন দারুণ উচ্ছ্বসিত। সবশেষ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলেন লিটন-তামিমরা। ম্যাচ শেষে লিটন বললেন, আমি প্রতিটি সিরিজই জিততে চাই, তবে সবসময় তা সম্ভব নয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে গিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। এরপর পাকিস্তান সফরে গিয়ে হোয়াইটওয়াশ হয়ে ফেরেন টাইগাররা। এরপর গত জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েও প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারে টাইগাররা। তবে পরের দুই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ জেতে লাল-সবুজের দল। আর ঘুরে দাঁড়ানোর শুরুটা সেখান থেকেই।
এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। সবশেষ সিরিজ নিশ্চিত করলো নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। সিলেট স্টেডিয়ামে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) টাইগার বোলারদের সামনে টিকতেই পারেননি ডাচ ব্যাটাররা। ১৭.৩ ওভারেই ১০৩ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪১ বল হাতে রেখেই ৯ উইকেটের জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
এমন দুর্দান্ত জয়ের পর টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, ‘একজন অধিনায়ক হিসেবে আমি প্রতিটি সিরিজই জেতার চেষ্টা করি, কিন্তু সেটা সবসময় সম্ভব নয়।’
টানা তিনটি সিরিজ জিতলেও মাটিতেই পা রাখছেন টাইগার কাপ্তান। লিটন বলেন, ‘দলকে কৃতিত্ব দেওয়া উচিত। তারা গত দুই সপ্তাহ ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমরা এখানে একটি ক্যাম্প করেছি এবং তারা অনুশীলনে নিজেদের পুরোপুরি উজাড় করে দিয়ে চেষ্টা করেছে। তারা তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে এবং এই উইকেটে কীভাবে ভালো বোলিং করতে হয় তা অনুসরণ করেছে।’
তরুণ ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের গুরুত্ব তুলে ধরে লিটনের মতে, মোস্তাফিজ ও তাসকিনের অবদান দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নাসুম যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে খুব বেশি ম্যাচে খেলেননি, তবুও তিনি সুযোগ পেলেই ভালো পারফরম্যান্স করে দেখিয়েছেন।
‘আপনারা সকলেই জানেন, মোস্তাফিজ আর তাসকিন কেমন গুরুত্বপূর্ণ। নাসুম খুব বেশি ম্যাচ খেলেনি, কিন্তু তিনি ভালো করেছেন। আমরা ধীরে ধীরে আমাদের দল গড়ার চেষ্টা করবো। যে কেউ দলে আসুক, সে যদি দারুণ খেলে তা খুবই ভালো। আর যদি জেতা যায়, সব ঠিক হয়ে যাবে। দেখা যাক।’
এমআর