বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামী ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। ১৯৮৬ সালে জামায়াতে ইসলামী ও আওয়ামী লীগ খালেদা জিয়ার সাথে বেঈমানী করে স্বৈরশাসক এরশাদের সাথে নির্বাচন করে। ওই নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত পেয়েছিল চার আসন। জামায়াতে ইসলামী ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যুদ্ধ করেছিল। ঐ সময় লাখো মানুষ মারা যায় এবং দুই লাখ মা-বোন নির্যাতিত হয়।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এই নেতা বলেন, ‘পিআর কি, এটা খায় না গায়ে দেয়, তা অনেকে জানে না। পিআর পদ্ধতি মানে আপনি ভোট দেবেন নোয়াখালী, এমপি হবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বা উত্তরবঙ্গের কোনো নেতা। তাই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন মানে একটা ধোঁকাবাজি।’
বরকত উল্লাহ বুলু আরও বলেন, ‘জামায়াতসহ কিছু দল পিআর পদ্ধতিতে ভোট চায়। কারণ তারা জনগণের কী হবে সেটা ভাবে না। আপনি এলাকার যাকে ভোট দেবেন, তিনি এমপি নির্বাচিত হয়ে আপনার সুখে দুঃখে থাকবে, আপনিও বিপদে আপদে তার সহযোগিতা পাবেন। সুতরাং জনগণ পিআর নয়, প্রত্যক্ষ ভোটে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চায়।’
আওয়ামী লীগের কোনো সেক্টর কমান্ডার নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘শহীদ জিয়া সেক্টর কমান্ডার থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ১৯৭৭ সালে ওয়াইসি সম্মেলনে গিয়ে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের ১৯টি দেশে শ্রমবাজার সৃষ্টি করেন প্রেসিডেন্ট জিয়া। ১৯৮০ সালে সাড়ে ৫০০ গার্মেন্টস শিল্প অনুমোদন দিয়ে মা-বোনদেরকে স্বচ্ছলতার পথ দেখিয়েছেন তিনি। আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান চারটি পত্রিকা ছাড়া সব পত্রিকা বন্ধ করে রাজা হয়ে যান। তার মেয়ে একটি দেশে থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ২৮০ আসন পেয়ে সরকার গঠন করবে।’
আলোচনা সভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো, সদস্যসচিব হারুনুর রশিদ আজাদ, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য শামীমা বরকত লাকী, বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামাক্ষা চন্দ্র দাস, সদস্যসচিব মাহফুজুল হক আবেদ, চৌমুহনী পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক জহির উদ্দিন হারুন, সদস্য সচিব মহসিন আলমসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
পরে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বরকত উল্লাহ বুলুর নেতৃত্বে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়।
পিএ/টিএ