২০১৬ সালে সিটির দায়িত্ব নেয়ার পর যে ফুটবলারকে পেপ গার্দিওলা প্রথম সাইন করিয়েছিলেন তিনি হচ্ছেন ইল্কে গুন্ডোগান। জার্মান এই তারকাকে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে নিয়ে আসেন পেপ। এরপর সিটিতে টানা ৭ মৌসুম খেলে ২০২৩ সালে বার্সেলোনায় যোগ দেন গুন্ডোগান। তবে সেখানে সুবিধা করতে না পারায়, এক মৌসুম পরই আবারও সিটিতে ফিরে আসেন জার্মান এই তারকা। এবার আবারও সিটি ছেড়ে তুরস্কের ক্লাব গালাতাসারাইয়ে যোগ দিয়েছেন ৩৪ বছর বয়সি এই মিডফিল্ডার।
গালাতাসারাইয়ের সঙ্গে গুন্ডোগান চুক্তি করেছেন দুই বছরের জন্য। যার মানে, ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ তিনি।গালাতাসারাইয়ের হয়ে প্রতি মৌসুমে তার মোট পারিশ্রমিক হবে ৪৫ লাখ ইউরো।
জার্মানির জাতীয় দলের হয়ে খেললেও গুন্ডোগানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই তুরস্কেই। গুন্ডোগানের দাদা খনি শ্রমিক হিসেবে তুরস্ক থেকে গিয়েছিলেন জার্মানিতে। তবে তার দাদি তুরস্কেই রয়ে গিয়েছিলেন সন্তানদের নিয়ে। পরে সময়ের পরিক্রমায় একটা পর্যায়ে গোটা পরিবার পাড়ি জমায় জার্মানিতে।
গালাতাসারাইয়ে যোগ দিয়ে রোমাঞ্চিত গুন্ডোগান। ক্লাবটির হয়ে প্রথম সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'আমার কোনো সংশয়ই নেই যে, ভবিষ্যতেও ম্যানচেস্টার সিটি অনেক সাফল্য পাবে এবং দূর থেকে অবশ্যই আমি তা দেখব ও উপভোগ করব, যখন তুরস্কে নিজের ক্যারিয়ার এগিয়ে নেব আমি, এমন এক দেশ সেটি, যা আমার কাছে অনেক কিছু।'
এদিকে সদ্য শেষ হওয়া গ্রীষ্মকালীন দলবদলে ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে গেছেন অনেকেই। কেউ পুরোপুরিভাবে সিটি ছেড়েছেন, আবার কেউ ধারে সিটি ছেড়ে অন্য ক্লাবে খেলতে গিয়েছেন। ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে যারা পাকাপোক্তভাবে অন্য ক্লাবে পাড়ি জমিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন—ইয়ান কুটো, এডারসন, ইল্কে গুন্ডোগান, ম্যাক্সিমো পেরোন, কেভিন ডি ব্রুইনে এবং কাইল ওয়ালকার।
এছাড়াও, বিভিন্ন ক্লাবে ধারে খেলতে যাওয়া ফুটবলার হলেন—আকাঞ্জি (ইন্টার মিলান), ভিতর রেইস (জিরোনা), জ্যাক গ্রিলিশ (এভারটন), ক্লাউডিও এচেভেরি (লেভারকুসেন)।
এমআর/এসএন