ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেছেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্যরা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন। কোনো না কোনো অনৈতিক কাজে যুক্ত থাকায় তারা চাকরি হারিয়েছেন।’
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মিন্টো রোডে ডিবি পরিচয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের সদস্য গ্রেপ্তারসংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতারকচক্রের কৌশল প্রসঙ্গে ডিসি মাসুদ আলম বলেন, ‘তাদের প্রচুর পেইড সোর্স রয়েছে।
এসব সোর্স ভুক্তভোগীদের টার্গেট করতে সহায়তা করে। কোনো ডাকাতি বা অপারেশন সফল হলে অপরাধীরা যেখানে এক লাখ টাকা ভাগ পায়, সেখানে সোর্সরা পায় দেড় লাখ টাকা। তারা ব্যাংকে সাধারণ গ্রাহক সেজে উপস্থিত থাকে এবং একা বা বয়স্ক ব্যক্তিদের কিংবা বড় অঙ্কের টাকা উত্তোলনকারীদের টার্গেট করে।’
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে অপরাধচক্রের যোগসাজশ আছে কি না জানতে চাইলে ডিসি মাসুদ আলম জানান, এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার অপরাধী দীন ইসলাম ওরফে কাউসার আহমেদ নিজেকে পুলিশ ইন্সপেক্টর পরিচয় দেওয়ার জন্য ভুয়া আইডি কার্ড তৈরি করেছিলেন, যা আসল থেকে আলাদা করা কঠিন। তার নামে অন্তত ১০টি ডাকাতি মামলা রয়েছে।’
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ভুয়া সদস্যদের চেনার উপায় প্রসঙ্গে ডিসি মাসুদ বলেন, ‘জনবহুল এলাকা থেকে যদি কেউ বাহিনীর পরিচয়ে কাউকে তুলে নিতে আসে, তখন আশপাশের মানুষকে জিজ্ঞেস করতে হবে কোন বিভাগ বা কোন বাহিনীর সদস্য তারা।’
কেএন/এসএন