এর আগেও মাঠে প্রতিপক্ষ ফুটবলারের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের নজির দেখিয়েছেন লুইস সুয়ারেজ। গত ৩১ আগস্ট তিনি লিগস কাপের ফাইনালে সিয়াটল সাউন্ডার্সের কাছে ইন্টার মায়ামির হারের পর তেমনই কাণ্ড ঘটান। হাতাহাতি ও উত্তপ্ত পরিস্থিতির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের এক স্টাফের দিকে থুতু মেরে বসেন উরুগুইয়ান তারকা। যার দায়ে লিগস কাপে সুয়ারেজকে ৬ ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
চলতি মৌসুমের লিগস কাপে মায়ামির বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জিতে সিয়াটল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। অর্থাৎ, এই মৌসুমে সুয়ারেজ কিংবা মায়ামিসহ কারোরই আর ম্যাচ নেই। তাই সুয়ারেজের ৬ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা লিগস কাপের পরবর্তী আসরে কার্যকর হবে। এর মধ্যে ৩ ম্যাচ গ্রুপপর্বে এবং বাকি ৩ ম্যাচ নকআউট রাউন্ডে। তার মানে মায়ামি আবারও টুর্নামেন্টটির ফাইনালে উঠলেই কেবল সুয়ারেজকে পাবে। এর ভেতর মেজর লিগ সকারসহ যে প্রতিযোগিতার ম্যাচই হোক, সেখানে প্রয়োগ হবে না এই শাস্তি।
এর বাইরে সিয়াটলের কোচিং স্টাফ স্টিভেন লেনহার্টকে পাঁচ ম্যাচ, মায়ামির টমাস অ্যাভিলেসকে তিন ম্যাচ এবং সার্জিও বুসকেটসকে দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি জরিমানাও করা হয়েছে। এর আগে ২০১০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ঘানার বিপক্ষে ইচ্ছাকৃত হ্যান্ডবল করেছিলেন, যা তার দলকে সেমিফাইনালে উঠতে ভূমিকা রাখে। এর বাইরে তিনবার প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে কামড়ের ঘটনায়ও নিষিদ্ধ হন সুয়ারেজ। সর্বশেষ ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ ম্যাচে পেনাল্টি অঞ্চলে সংঘর্ষের মাঝে ইতালির ডিফেন্ডার জর্জিও কিয়েল্লিনির কাঁধে কামড় দেন।
সাম্প্রতিক ম্যাচে সুয়ারেজ কেবল থুতু ছিটিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি, সিয়াটলের আরেক খেলোয়াড়ের গলায় হাত দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এমএলএস কর্তৃপক্ষ পুরো ঘটনাই তদন্ত করছে। এরই মাঝে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সুয়ারেজ দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সুয়ারেজ লিখেছেন, ‘এটি ছিল প্রচণ্ড উত্তেজনা ও হতাশার এক মুহূর্ত, যেখানে ম্যাচ শেষে এমন কিছু ঘটে গেছে যা কখনোই হওয়া উচিত নয়। তবে আমার প্রতিক্রিয়ার কোনো অজুহাত নেই। আমি ভুল করেছি এবং আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
প্রসঙ্গত, লিগস কাপের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে রেফারির শেষ বাঁশি বাজানোর পরই মূল ঘটনা ঘটে। ওই সময় সিয়াটল সাউন্ডার্সের তরুণ মিডফিল্ডার ওবেদ ভার্গাসকে লক্ষ্য করে ছুটে যান সুয়ারেজ। এরপর মাঠে শুরু হয় দুজনের হাতাহাতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে দুই দলের কর্তারা ছুটে আসেন। তখনই ক্যামেরায় ধরা পড়ে, সাউন্ডার্সের দলের এক স্টাফের দিকে থুতু ছুড়ছেন সুয়ারেজ। যুদ্ধংদেহী পরিস্থিতিতে উভয়পক্ষের ধাক্কাধাক্কি ও সংঘর্ষ বেধে যায়। পরস্পর ঘুষি ও হাতাহাতিতে জড়ান বুসকেটস-ভার্গাসরা।
এসএস/টিএ