ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষকে শক্তিশালী মানলেও এই ম্যাচে জয় তুলে নেয়ার লক্ষ্য কোচ হাভিয়ের কাবরেরার। লম্বা সময় ধরে প্রস্তুতি নেয়ায় আত্মবিশ্বাসী অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও।
নেপাল ম্যাচ নিয়ে এক ধরনের হযবরল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ১৩ আগস্ট থেকে ক্যাম্প শুরু করলেও কাবরেরা পূর্ণ স্কোয়াড নিয়ে দেশে অনুশীলন করতে পেরেছেন মাত্র দুই দিন। হিমালয়ের দেশে গিয়ে কম্বিনেশন কতটা সেট করতে পেরেছেন স্প্যানিশ কোচ তা দেখা যাবে মাঠের লড়াইয়েই।
দল হিসেবে নেপালের তুলনায় কোনো অংশেই এগিয়ে নেই বাংলাদেশ। হামজা-সমিত শোম থাকলে ব্যবধান হতো স্পষ্ট। তারা ম্যাচ দুটো খেলতে না চাওয়ায় সেই সুবিধাও পাচ্ছে না লাল সবুজ। তাই অনেকটা ব্যাকফুটে থেকেই ম্যাচ খেলতে নামবে কাবরেরার দল। যদিও প্রতিপক্ষকে সমপর্যায়েই বলছেন স্প্যানিশ কোচ।
সংবাদ সম্মেলনে কাবরেরা বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় না দুটো দলের মাঝে খুব একটা পার্থক্য আছে। শক্তির বিচারে আমরা অনেকটা সমপর্যায়ের। তবে এখানে ম্যাচ খেলাটা সহজ নয়। সবশেষ নেপাল থেকে আমরা হার নিয়ে ফিরেছি। সেটা আমার মনে আছে। তবে এবার প্রেক্ষাপট আলাদা। আশা করছি ভালো কিছু হবে। তবে হামজা কিংবা সমিত শোম থাকলে আমরা এগিয়ে থাকতাম।’
নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশ এই ম্যাচ খেলতে মূলত হংকং ম্যাচের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে। যদিও বাফুফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ইউরোপের শক্তিশালী দলের বিপক্ষে হবে ম্যাচ। সেটা তো হয়ইনি! এমনকি মেলেনি এশিয়ার কোনো শীর্ষ সারির দল। তারপরও এখান থেকেই প্রস্তুতি সারার লক্ষ্য অধিনায়কের।
জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘এটা আমাদের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতির অংশ। হংকং'র বিপক্ষে মাঠে নামার আগে আমাদের হাতে আর কোনো ম্যাচ নেই। সেই হিসেবে এটা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্রস্তুতি ম্যাচ বলে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। আমরা চাই জয় তুলে নিতে। এতে দলের ফুটবলারদের মাঝে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।’
প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নেপালের সঙ্গে আরও একটি ম্যাচ খেলবে লাল সবুজ। একই ভেন্যুতে যা মাঠে গড়াবে ৯ সেপ্টেম্বর।
এসএস/টিএ