মাঠ জিম্বাবুয়ের কিন্তু রাজত্ব শ্রীলঙ্কার। অবশেষে সেই রাজত্বের অবসান। জিম্বাবুয়ে সফরে হ্যাটট্রিক জয়ের পর এবার মুদ্রার উল্টোপিঠটা দেখল শ্রীলঙ্কা। ওয়ানডে-টি-টোয়েন্টি মিলে চতুর্থ ম্যাচে এসে পরাজয় দেখেছে তারা।
ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হওয়া জিম্বাবুয়ে আজ টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাঁচাতে হলে জিততেই হতো। সেটা পেরেছে তারা এবং দারুণভাবেই। ৩৪ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। এ জয়ে তিন ম্যাচের শেষটি তাই অঘোষিত ফাইনাল হয়ে দাঁড়াল।
তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি হবে আগামীকাল হারারেতেই।
হারারেতে আজ জয়টা প্রাপ্যই ছিল জিম্বাবুয়ের। কেননা দুর্দান্ত বোলিংয়ে লঙ্কানদের মাত্র ৮০ রানে অলআউট করে সিকান্দার রাজার দল। প্রতিপক্ষকে অল্প রানে গুটিয়ে দিতে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি।
১১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার স্বীকৃতিও জুটেছে তার কপালে। দলীয় ৪ রানে শ্রীলঙ্কার ব্যাটার শিকার শুরু করেন ব্লেসিং মুজারাবানি। ২ উইকেট নেওয়া মুজারাবানির সঙ্গে পরে উইকেট উদযাপনে যোগ দেন ব্র্যাড ইভান্স ও রাজা।
ইভান্সের পেসের সঙ্গে ঘূর্ণির মিশ্রণ ঘটিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৮০ রানে অলআউট করেন রাজা। যা সংক্ষিপ্ত সংস্করণে দলটির দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর।
সর্বনিম্ন হচ্ছে ৭৭ রান।২০২৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করে তারা। আজ রাজার মতো ইভান্সও ৩ উইকেট নিয়েছেন। প্রতিপক্ষের হয়ে সর্বোচ্চ ২০ রান করেছেন কামিল মিশরা।
ছোট্ট লক্ষ্য তাড়াতেও একটা সময় ব্যাটিং ধসে পড়ে জিম্বাবুয়ে। যদিও ওপেনিংয়ে ২০ রানের একটা জুটি গড়ে সহজ জয়ের ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন ব্রায়ান বেনেট ও তাদিওয়ানশে মারুমানি। তবে মারুমানি ব্যক্তিগত ১৭ রানে আউট হওয়ার পরেই দ্রুত আরো ২ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে তারা।
পরে আরো দুই উইকেট হারালেও রায়ান বার্ল ও তাশিংগা মুশেকিওয়া দুটি বিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে জয় নিশ্চিত করেন। মুশেকিওয়ার ২১ রানের বিপরীতে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন বার্ল। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন দুষ্মন্ত চামিরা।
ইএ/টিকে