রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেছেন, সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মূল প্রশ্ন হলো কারা লাভবান হচ্ছে এই পরিস্থিতিতে? মুহাম্মদ ইউনূস বারবার বলেছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে নির্বাচন হবে। অন্য কোন বিকল্প জাতির জন্যে ভয়াবহ হবে। কিন্তু দেশে যেভাবে সংঘাত বাড়ছে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির পথ আরো কঠিন হচ্ছে।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।
জিল্লুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এলাকাবাসী সংঘাত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা প্রমাণ করছে যে রাজনৈতিক সংকট শিক্ষাঙ্গনেও ছড়িয়ে পড়ছে। এতে জনমনে অনিশ্চয়তা বাঁধছে। নির্বাচন সঠিক সময় হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন জোরদার হচ্ছে।
তিনি বলেন, জনগণের দৃষ্টিতে জাপা নিষিদ্ধের দাবি খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ তারা দলটিকে আওয়ামী লীগের দোষর হিসেবেই দেখে এসেছে বা দেখতে অভ্যস্ত। কিন্তু রাজনৈতিক কৌশলে এটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ একটি দল নিষিদ্ধ হলে ভোটের অংক পাল্টে যায়।
জিল্লুর আরও বলেন, বিশ্লেষকদের মতে ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর গোয়েন্দাদের ভূমিকাও সীমিত। জনগণের অভ্যুত্থান নতুন বাস্তবতা তৈরি করেছে। কেবল গোয়েন্দা সংস্থার ইচ্ছায় জাপা বিরোধী দলে পরিণত হবে না। এখানে ভোটের অংকই আসল কথা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি আবারো এক গুমোট পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আছে।
কেএন/টিকে