অধিনায়ক লিটন দাসের সঙ্গে কথা বলে নিজের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন সাইফ হাসান। ওপেনিং কিংবা মিডল অর্ডার- দলের চাহিদা অনুযায়ী যেকোনো পজিশনে ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত আছেন। অবদান রাখতে চান বোলিংয়েও।
জাতীয় দল ঘোষণার সময়ই গাজী আশরাফ হোসেন লিপু সাইফকে দলে নেওয়ার ব্যাখ্যায় বলেছিলেন, যে কোনো পজিশনে তাকে খেলতে হতে পারে। প্রধান নির্বাচকের এমন কথা কি সাইফ হাসানের ওপর চাপ বাড়িয়ে দিল? দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফিরে মাত্র একটা সিরিজ খেলেই এশিয়া কাপের ময়দানে নামতে হচ্ছে তাকে।
আরব আমিরাতে মেগা ইভেন্টে অংশ নিতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে সাইফ চ্যালেঞ্জের কথা জানান দেশের একটি গণমাধ্যমকে। ‘প্রেশার তেমন না। চেষ্টা করব বিষয়টা উপভোগ করার। বড় একটা ইভেন্ট, অনেক দিন পর আসছি। রোলটা বুঝতে পেরেছি। লিটন ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। ভাই আমাকে বলেছেন যে কোনো জায়গায় ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে। এশিয়া কাপের জন্য আমি প্রস্তুত, শেষ দুই বছর বিপিএল ও গ্লোবাল সুপার লিগে সেভাবেই প্রস্তুত হয়েছি।’
সাইফের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স আহামরি, এমনটা বলা যাবে না। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে গ্লোবার সুপার লিগে ৪ ম্যাচে ১২৭ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ৮৪ রান। বল হাতে শিকার ৩ উইকেট। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় ‘এ’ দলের হয়ে টপএন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৬ ম্যাচে ১২১ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ১৩২ রান। উইকেট নিয়েছেন ৩টি। টিম কম্বিনেশন আর ইমপ্যাক্টের বিবেচনায় এই পারফরম্যান্সই নির্বাচকদের নজর কাড়তে যথেষ্ট হয়েছে।
নেদারল্যান্ডস সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন। সিলেটে প্রথম ম্যাচেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে বুঝিয়ে দেন তাকে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করে ভুল করেননি সিলেক্টররা। ১৯ বলে ৩৬ রান করার পাশাপাশি ঐ ম্যাচে বল হাতে নেন ২ উইকেট। এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চেও ছন্দ ধরে রাখতে চান সাইফ। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই চিন্তা করছি যে চ্যাম্পিয়ন হতে পারব। প্রক্রিয়াটা মেনটেন করতে হবে, ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোতে হবে। প্রথম ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। ভালো স্টার্ট করতে পারলে ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব।’
ইএ/টিকে