বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, এখন থেকে যদি আমরা কাজ করতে থাকি, তাহলে নির্বাচনের আগে মানুষের যে জনপ্রিয়তা, মানুষের যে ভালোবাসা, মানুষের যে সমর্থন সেটাই ভোটের মাঠে আসল ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে। তখন আর ব্যালট বাক্স ভরা, ব্যালট চুরি করার প্রয়োজন হবে না।
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমি আমার নির্বাচনী কাজ শুরু করে দিয়েছি। আমি আশা করবো যারা যারা প্রার্থী হয়েছেন, আগামী নির্বাচনে প্রত্যেকেই যেন তার এলাকায় কাজ শুরু করে দেন।‘
ডাকসু নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নির্বাচন। আর জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে বড় একটি বিষয়। জাতীয় নির্বাচনের সময় কেবল যে দেশের নজর থাকবে তা নয়। আন্তর্জাতিক নজরও বাংলাদেশের দিকে থাকবে।’
আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাংলাদেশের একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি, নির্বাচনটি সকলের জন্য অবাধ এবং সুষ্ঠু হবে। সকলেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সমান সুযোগ পাবে। প্রচারণায় সমান সুযোগ পাবে। লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে।’
আসন বিন্যাস প্রসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘নতুন দুটি ইউনিয়ন আসাতে কি কেউ হেরে যাওয়ার ভয় করছে। নতুন দুটি ইউনিয়নের ভোট কি কেউ পাবে না এমন মনে করছে ‘
তিনি বলেন, ‘আসলে এখানে কারও ব্যক্তির ব্যাপার নয়, মূলত দুই আসনের জনসংখ্যার পার্থক্য, ভৌগোলিক অবস্থা, যাতায়াত ব্যবস্থা ইত্যাদি বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গণশুনানিতেতো আমি একা শুনানি করেছি। অন্য সাইডে যারা প্রতিপক্ষ তারা ১৪ জন ১৫ জন মিলে শুনানি করেছে, তাদের শুনানিতে যদি কোনো আইনি কোনো পয়েন্ট থাকতো, তাহলে তো তারা জিতে যেত। তারা তো জিততে পারল না।
এ সময় তার সঙ্গে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসএস/এসএন