ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শুভেচ্ছা জানানোর মতো প্রার্থী নির্বাচিত হয়নি বলে জানিয়েছেন ভিপি প্রার্থী প্রতিরোধ পর্ষদের শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা লেখেন।
ইমি বলেন, ডাকসুতে শুভেচ্ছা জানানোর মতো প্রার্থী নির্বাচিত (!) হয়নি। আমি তাদেরকে আমার প্রতিনিধি হিসেবে মেনে নিতে পারব না।
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ এনে তিনি আরও বলেন, আমি জুলাইয়ের শহীদ সোহেল রানা ভাইয়ের মাকে কথা দিয়েছিলাম উনার ছেলের লাশের সন্ধান এনে দিব ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে। চব্বিশের জুলাইয়ে যারা ঘর ছেড়েছিল তাদের সবাই এখনো ঘরে ফেরেনি। তাদের সন্ধান চাইব রাষ্ট্রের কাছে। কেউ সঙ্গে থাকতে চাইলে প্লিজ জানাবেন। অনেক কাজ বাকি..।’
এদিকে ডাকসু নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম। সবগুলো কেন্দ্রের চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা গেছে, সাদিক কায়েম পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৫৮ ভোট।
এছাড়া তৃতীয় সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫৪৯ ভোট পেয়েছেন স্বতন্ত্র জোটের প্রার্থী উমামা ফাতেমা। স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ৩৮৫ ভোট। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের প্রার্থী আব্দুল কাদের.৬৬৮এবং প্রতিরোধ পর্ষদের প্রার্থী শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি পেয়েছেন ১১ ভোট।
তবে এরই মধ্যে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন আবিদুল এবং উমামা ফাতেমা। আব্দুল কাদেরও নির্বাচনের ব্যাপক সমালোচনা করে কারচুপির অভিযোগ এনেছেন।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডাকসুর ভোটগ্রাহণ চলে। এবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে ডাকসু এবং হল সংসদে শিক্ষার্থীদের ভোটগ্রহণ চলে। এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। পাঁচ ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ ভোটের বিপরীতে ১৩ ছাত্র হলে এই সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৫ জন।
ডাকসুতে ২৮টি পদের জন্য মোট ৪৭১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রতি হল সংসদে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট পদের সংখ্যা ২৩৪টি। এসব পদে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন ১ হাজার ৩৫ জন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এবার ভোটারদের ৪১টি ভোট দিতে হয়েছে।
এমকে/টিকে