ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর)। এতে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম)। তার নেতৃত্বাধীন পুরো প্যানেলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
শুভেচ্ছার পাশাপাশি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ রক্ষা ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম দাবি হলো- বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পেছনে থাকা গেস্টরুম নির্যাতনের সংস্কৃতি বা ‘গেস্টরুম কালচার’ সম্পূর্ণ নির্মূল করা।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব দাবি জানান। সেখানে হাসনাত লেখেন, ডাকসু-২০২৫ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী সংসদকে ঐতিহাসিক বিজয়ের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। পাশাপাশি বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও হল সংসদের বিজয়ীদেরও অভিনন্দন। আশা রাখি, আপনারা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গেও কাজ করবেন এবং দল নয়, শিক্ষার্থীরাই আপনাদের একমাত্র প্রায়োরিটি হবে।
ঢাবি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি আহ্বান জানান, দায়িত্ব অর্পিত প্রতিনিধিদের জবাবদিহিতার আওতায় রাখতে। আর ভিপি সাদিক কায়েমের উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, সাদিক আমার সহপাঠী ও বন্ধু। আমি বিশ্বাস করি, সে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং অ্যাকাডেমিক নির্বিঘ্নতা নিয়ে আপোষ করবে না। আমার ব্যক্তিগত প্রত্যাশা, গেস্টরুম কালচারসহ এই অন্যায় সিস্টেমের ফাঁসি নিশ্চিতে তোমার নেতৃত্বে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ শুরু হোক।
এরপর তিনি ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর করা এক ফেসবুক পোস্ট রিশেয়ার করেন। যেখানে দেখা যায় বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছিলেন- তিনি আসামিদের ফাঁসি চান না, বরং সেই নির্যাতনমূলক ‘সিস্টেমের ফাঁসি’ চান। তার মতে, গেস্টরুম কালচার শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননের বিকাশ ব্যাহত করে, সিনিয়র-জুনিয়রের মধ্যে এক অনন্ত নির্যাতনচক্র চালু রাখে এবং শেষ পর্যন্ত মেধাবীদের খুনি বানিয়ে ফেলে।
হাসনাতের ভাষায়, তাদের ফাঁসি দেয়ার আগে আমাদের ফাঁসি দিতে হবে এই সিস্টেমের। ফাঁসি দিতে হবে তাদের, যারা এই সিস্টেম তৈরি করেছে ও পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। সিস্টেম বহাল রেখে হাজার অনিককে গণ-ফাঁসি দিলেও কোনো লাভ নেই।