এই জায়গাটি আমাদের, কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হবে না: নেতানিয়াহু

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন যে, এমন কিছুর অস্তিত্ব আর থাকবে না। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) তিনি এমন কথা বলেন।

জেরুজালেমের পূর্বে অবস্থিত ইসরাইলি বসতি মালে আদুমিমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে যাচ্ছি যে, কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র থাকবে না। এই জায়গাটি আমাদের।’

নেতানিয়াহুর বরাত দিয়ে একটি বার্তা সংস্থা জানায়, ‘কখনোই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হবে না। এই জায়গাটি আমাদের। আমরা আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের ভূমি এবং আমাদের নিরাপত্তা রক্ষা করব। যেখানে হাজার হাজার নতুন আবাসন ইউনিট যুক্ত করা হবে।’

পশ্চিম তীরের মালে আদুমিম বসতি পরিদর্শনের সময় এসব কথা বলেন নেতানিয়াহু।

ই১ নামে পরিচিত প্রায় ১২ বর্গকিলোমিটার (পাঁচ বর্গমাইল) জমিতে প্রকল্প নির্মাণের জন্য ইসরাইল দীর্ঘদিন ধরে উচ্চাকাঙ্ক্ষা পোষণ করে আসছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক বিরোধিতার মুখে বছরের পর বছর ধরে পরিকল্পনাটি আটকে ছিল।

গত মাসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা কমিশন থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।

এই স্থানটি জেরুজালেম এবং ইসরাইলি বসতি মালে আদুমিমের মাঝামাঝি অবস্থিত, যা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উত্তর ও দক্ষিণের সংযোগকারী পথের কাছাকাছি।

গত মাসে, ইসরাইলের অতি-ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এখানকার জমিতে প্রায় ৩,৪০০টি বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছিলেন।

হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, প্রকল্পটি পুনরায় চালু করলে ইসরাইল আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে, কারণ গাজা যুদ্ধের ধারাবাহিকতা এবং দিনের পর দিন হামলা জোরদার করায় হতাশ হয়ে কয়েকটি পশ্চিমা মিত্র এই মাসের শেষের দিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

ই১ মালে আদুমিমের সংলগ্ন অবস্থিত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় সরকারের আপত্তির মুখে ২০১২ এবং ২০২০ সালে এটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।

প্রকল্পে মোট বিনিয়োগ, যার মধ্যে রাস্তাঘাট যুক্ত করা এবং প্রধান অবকাঠামোগত উন্নয়ন অন্তর্ভুক্ত থাকবে, প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার অনুমান করা হয়েছে।

এমআর 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দূষণের শীর্ষে লাহোর, ঢাকার বাতাস আজও সহনীয় Sep 12, 2025
img
কাতারে হামলায় যুদ্ধবিরতি আলোচনায় প্রভাব পড়বে না, আশাবাদী ট্রাম্প Sep 12, 2025
img
রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে আওয়ামী লীগের ১২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Sep 12, 2025
img
হানিমুন পিরিয়ড শেষ করেছেন হৃদয় Sep 12, 2025
img
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হওয়া দরকার: হরভজন Sep 12, 2025
img
বিচারপতি আক্তারুজ্জামানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি Sep 12, 2025
img
লিটনের সর্বোচ্চ ছক্কার মাইলফলক, সঙ্গে ব্যাটিংয়ের বহু অর্জন! Sep 12, 2025
img
জাকসু নির্বাচনে প্রাণ হারালেন এক পোলিং অফিসার! Sep 12, 2025
img
ডাকসু নির্বাচনে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের ২৫ শতাংশ শনাক্ত করতে পারেনি মেটা Sep 12, 2025
img
ফরেনসিক রিপোর্টে মিললো অভিনেত্রী হুমাইরার মৃত্যুর রহস্য! Sep 12, 2025
img
বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, এত খেয়েও ওজন বাড়েনি : পারসা ইভানা Sep 12, 2025
img
সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার আরও ১৮১৫ Sep 12, 2025
img
জাপান পৌঁছেছে এনসিপির প্রতিনিধি দল Sep 12, 2025
img
জাকসু নির্বাচনে ১২ হলের ভোট গণনা শেষ, বাকি আরও ৯ Sep 12, 2025
img
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিট মূল্য ঘোষণা করলো ফিফা! Sep 12, 2025
img
বাংলাদেশে জামায়াতের সরকার আসবে কি না, প্রশ্ন তুললেন শশী থারুর Sep 12, 2025
img
দেশের বাজারে স্বর্ণ ও রুপার আজকের দর Sep 12, 2025
img
যশোরে জাল ওয়ারিশ সনদ দেওয়ার অভিযোগে ইউপি প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা Sep 12, 2025
img
ধীরগতির ব্যাটিং নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন লিটন দাস Sep 12, 2025
img
সাগরে আবারও লঘুচাপের আশঙ্কা, বাড়তে পারে বৃষ্টি Sep 12, 2025