ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট লসোনারোকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এই রায় দেন আদালত। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির চারজন এ দণ্ড দেন।

বিবিসি জানায়, ২০২২ সালের নির্বাচনে বামপন্থি প্রতিদ্বন্দ্বী লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার কাছে তার পরাজয় ঠেকাতে একটি ষড়যন্ত্রের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলসোনারো।

সাবেক প্রেসিডেন্টের বিচারের জন্য নিযুক্ত পাঁচজন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির মধ্যে চারজনই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান। একজন বিচারপতি খালাস দেন ৭০ বছর বয়সী বলসোনারোকে।

২০২২ সালে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রসহ পাঁচটি অভিযোগের সবক’টিতে বলসোনারোকে দোষী সাব্যস্ত করেন চার বিচারপতি।

অভিযোগগুলো হলো; সশস্ত্র অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, গণতান্ত্রিক আইনের শাসন বিলুপ্তির চেষ্টা, অভ্যুত্থানের চেষ্টা, সরকারি সম্পত্তির সহিংস ধ্বংস, সংরক্ষিত জাতীয় ঐতিহ্যবাহী স্থানের ক্ষতি।

সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর কমান্ডারদের সমর্থন না পাওয়ায় ষড়যন্ত্রটি ব্যর্থ হয়। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারী কোনো ঘটনা ছাড়াই লুলা শপথ গ্রহণ করেন।

কিন্তু এক সপ্তাহ পরে, ৮ জানুয়ারী, হাজার হাজার বলসোনারো সমর্থক রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় সরকারি ভবনগুলোতে হামলা এবং ভাঙচুর চালায়।
নিরাপত্তা বাহিনী হস্তক্ষেপ করে এবং প্রায় ১,৫০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে, বলসোনারো তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছেন।

বলসোনারো ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত লাতিন আমেরিকার বৃহত্তম দেশ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

সেনবাহিনীর সাবেক এই ক্যাপ্টেন দাবি করেছেন, তিনি রাজনৈতিক দমনপীড়নের শিকার। বলসোনারো বর্তমানে গৃহবন্দী আছেন।

এমআর 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আন্তর্জাতিক বাজারে নিম্নমুখী জ্বালানি তেলের দাম Sep 12, 2025
img
রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন: প্রেস সচিব Sep 12, 2025
img
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে গণতন্ত্র হুমকির মুখে : সুইডেনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা Sep 12, 2025
img
রান রেটে পিছিয়ে, আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কাকে হারানোর লক্ষ্য বাংলাদেশের Sep 12, 2025
img
নেওয়াজকে বিশ্বসেরা স্পিনার বললেন কোচ মাইক হেসন Sep 12, 2025
img
ছাত্রলীগের ভোট যদি জামায়াত নিতে পারে, এটা তাদের কৃতিত্ব: জাহেদ উর রহমান Sep 12, 2025
img
বেড়েই চলেছে আরব আমিরাতের ভিসা জটিলতা, সমস্যায় বাংলাদেশিরা Sep 12, 2025
img
আশরাফুল ও জেসিকে সরিয়ে ঢাকা জেলা-বিভাগের দায়িত্বে বুলবুল-ফাহিম Sep 12, 2025
img

জাকসু নির্বাচন

নানা অসঙ্গতি থাকলেও ভোট চুরি হয়নি, বললেন শিবিরের জিএস প্রার্থী Sep 12, 2025
img
চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দিলেন কারিশমা! Sep 12, 2025
img
ছাত্রদলের জাকসু নির্বাচন বর্জন নিয়ে রুমিন ফারহানার মন্তব্য Sep 12, 2025
img
দূষণের শীর্ষে লাহোর, ঢাকার বাতাস আজও সহনীয় Sep 12, 2025
img
কাতারে হামলায় যুদ্ধবিরতি আলোচনায় প্রভাব পড়বে না, আশাবাদী ট্রাম্প Sep 12, 2025
img
রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে আওয়ামী লীগের ১২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Sep 12, 2025
img
হানিমুন পিরিয়ড শেষ করেছেন হৃদয় Sep 12, 2025
img
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হওয়া দরকার: হরভজন Sep 12, 2025
img
বিচারপতি আক্তারুজ্জামানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি Sep 12, 2025
img
লিটনের সর্বোচ্চ ছক্কার মাইলফলক, সঙ্গে ব্যাটিংয়ের বহু অর্জন! Sep 12, 2025
img
জাকসু নির্বাচনে প্রাণ হারালেন এক পোলিং অফিসার! Sep 12, 2025
img
ডাকসু নির্বাচনে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের ২৫ শতাংশ শনাক্ত করতে পারেনি মেটা Sep 12, 2025