গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের ওপর বর্বর হামলায় জড়িতদের দ্রুত বিচার ও শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করেছে ছাত্র জনতা। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড্ডায় এই বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ‘গত ২৯ আগস্ট নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়। ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সেদিন হামলায় কারা জড়িত ছিলো সেটার স্পষ্ট ফুটেজ থাকার পরও কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া দুঃখজনক। অথচ সরকার আশ্বাস দিয়েছিলো দোষীদের বিচারের আওতায় আনবে।
তিনি বলেন, নুরুল হক নুরের উপর হামলার বিচার না হওয়ায় বোঝা যায় রাষ্ট্র সরকার চালাচ্ছে না। অদৃশ্য কোনো শক্তি অন্য কোনো দেশের সহযোগিতায় রাষ্ট্রকে নিজের মতো করে চালাচ্ছে। সরকার যদি নুরুল হক নুরের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আগামীতে যমুনার সামনে কর্মসূচি দেওয়া হবে।
আবু হানিফ বলেন, একদিকে গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির ওপর এমন হামলা, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের রাস্তায় মিছিল করার সুযোগ দেওয়া; এর মধ্যে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিলো। আর আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছিলো ১৪ দল ও জাতীয় পার্টি।২৪ এর ডামি নির্বাচনে অংশ নিয়ে যারা আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছিলো সেই সব ডামি এমপিদেরও গ্রেপ্তার করতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি আরিফুর রহমান বলেন, ‘নুরুল হক নুর ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের আপোষহীন চরিত্র, তার ভূমিকা এই দেশের মানুষ জানে। সেদিন নুরুল হক নুরের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণ হলো সরকারের দুর্বলতা। সরকারকে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দেব।
হোসাইন নুরের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য দেন, আলমগীর অপূর্ব, মো. ইমরান, আবির ইসলাম সবুজ, মো. রাজু, মিঠু, বনি আমিন সিফাত, জুবায়ের, শাওন প্রমুখ।
ইউটি/টিএ