জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনকে বর্তমানে পর্দায় সেভাবে দেখা না গেলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় সব সময়ই সরব তিনি। প্রায়ই বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন। শোবিজ অঙ্গন হোক বা রাজনীতি, শাওনকে প্রায়ই লিখতে দেখা যায় ফেসবুকে। এবার নেপালের প্রেক্ষাপট নিয়ে লিখলেন শাওন।
তবে সরাসরি বাংলাদেশের কথা উল্লেখ না করলেও বাংলাদেশের সঙ্গে কিছু বিষয়ে তুলনা করে একরকম খোঁচাই দিলেন এ অভিনেত্রী।
ফেসবুক পোস্টে শাওন লেখেন, “নেপালের এই অন্তর্বর্তী সরকারকে মেনে নিতে পারছি না। সরকার প্রধান সুশীলা কার্কি নেপালের বিপ্লবকে ‘পরিকল্পিতভাবে কার্যকর ষড়যন্ত্র’ বলছেন! তিনি কি বলতে পারতেন না ‘এই লুটপাট-অগ্নিকাণ্ড-ভাঙচুর তরুণদের এতগুলো বছরের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ’? এই আন্দোলনকারীরা কি তাঁর ‘নিয়োগকর্তা’ নয়? তিনি কি বাংলাদেশের কাছ থেকে কিছুই শিখেননি?”
শাওন আরো লেখেন, “সেপ্টেম্বর ৮ থেকে ১২ পর্যন্ত সংঘটিত সব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে বিচারের আওতায় আনা যাবে না—তিনি কি এরকম ইনডেমনিটি আইন করতে পারলেন না! নিজের কম্পানির নামে নতুন নতুন লাইসেন্স না নিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয় না বানিয়ে, ৫ বছরের আয়কর মওকুফ না করে, দেশের কোনোরকম সংস্কার-সংস্কার খেলা না খেলে ৬ মাসের কম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ দিয়ে দিলেন! এমনকি মন্ত্রিসভায় তাঁর নিয়োগকর্তা কোনো আন্দোলনকারীকেও নিলেন না!”
সবশেষে শাওন লেখেন, “এজন্যই নেপালের কপালে ‘নোবেল’ নেই।”
অভিনেত্রীর এই পোস্ট যে বাংলাদেশের গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী দৃশ্যপটের সঙ্গে তুলনা করে করা, তা আর বুঝতে বাকি নেই অনুরাগীদের। মন্তব্যেও দেখা গেছে সেই আভাস। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘কার্কি দেশপ্রেমিক সাহসী মহিলা! এমন মহিলা সঠিক পথে থাকে, জনগণের পালস যেদিকে সেদিকে নয়। ক্ষমতালোভী নয় সে।’ অন্য একজনের মন্তব্য, ‘ওদের দেশপ্রেম আছে।
ইউটি/টিএ