জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের। নির্ধারিত সময়ের পর যোগ করা তৃতীয় মিনিটেও তারা এগিয়ে ছিল ২ গোলের ব্যবধানে। কিন্তু মুহূর্তে সব ওলটপালট করে দিলেন জুভেন্টাসের সার্বিয়ান স্ট্রাইকার দুসান ভ্লাহোভিচ। যোগ করা সময়ের চতুর্থ ও ষষ্ঠ মিনিটে গোল করে ও করিয়ে দলের হার এড়ালেন তিনি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে জুভেন্টাস ও বরুশিয়ার ম্যাচটি ৪-৪ গোলে ড্র হয়েছে।
অ্যালিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে এদিন প্রথমার্ধ ছিল নিষ্প্রাণ। গোলশূন্য থেকে বিরতিতে গিয়েছিল দুদল। কিন্তু বিরতির পরই জমে উঠে লড়াই। ম্যাচের ৫২তম মিনিটে ডেডলক ভাঙেন বরুশিয়ার ফরোয়ার্ড করিম আদেইমি। সতীর্থের পাস ধরে একটু এগিয়ে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন জার্মান ফরোয়ার্ড। ১০ মিনিট পর জুভেন্টাসকে সমতায় ফেরান কেনান ইলদিজ। বক্সের বাইরে থেকে ২০ বছর বয়সী এ তুর্কি ফরোয়ার্ডের শট দূরের পোস্টের ওপরের কোণা দিয়ে জালে জড়ায়।
পরের চার মিনিটের মধ্যে আবার দুদলের দুই গোল। লড়াই জমে একেবারে ক্ষীর। ৬৫তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে গোল করে ডর্টমুন্ডকে লিড এনে দিয়েছিলেন জার্মান মিডফিল্ডার ফেলিক্স মেচা। এক মিনিট পরই মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে গোল আদায় করে জুভেন্টাসকে সমতায় ফেরান দুসান ভ্লাহোভিচ।
এরপর ৭৪তম মিনিটে প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে বক্সে ঢুকে কাছের পোস্ট দিয়ে গোল করে ডর্টমুন্ডকে আবার লিড এনে দেন ইয়ান কৌতো। ৮৬তম মিনিটে পেনাল্টি উপহার পেয়ে সফল স্পট কিকে ডর্টমুন্ডের ব্যবধান আরও বাড়ান রামি বেনসেবেইনি। নির্ধারিত সময় শেষে যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটেও ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ডর্টমুন্ড। তখনও কেউ ভাবতে পারেনি এখান থেকে জয়টা হাতছাড়া হচ্ছে স্বাগতিকদের।
কিন্তু সেটাই হলো। আট মিনিটের যোগ করা সময়ে সব ওলটপালট হয়ে যায়।
চতুর্থ মিনিটে ডান দিক থেকে সতীর্থের পাসে ছুটে গিয়ে কাছ থেকে বল জালে পাঠান ভ্লাহোভিচ। ষষ্ঠ মিনিটে পরের গোলেও অবদান রাখেন তিনি। ডান দিক থেকে তার ক্রসে বক্সে হেডে বল জালে পাঠান কেলি। তাতে রুদ্ধশ্বাস ও রোমাঞ্চর এক ম্যাচের সমাপ্তি ঘটে ৪-৪ গোলের ড্রয়ে।
এমআর